বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর বনানীতে জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যায় দায়ের করা মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মামলার তদন্তভার অফিসিয়ালি বনানী থানা থেকে ডিবি (উত্তর) বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। হত্যার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও খুনিদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ডিবি উত্তরের এডিসি মো. শাহজাহান বলেন, মামলার নথি হাতে পেয়েছি। তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর রাতে এমএস মুন্সি ওভারসিজ নামে রিক্রুটিং এজেন্সিটি’র কর্ণধার সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে (৫০) গুলি করে হত্যা করে চার মুখোশধারী দুর্বৃত্ত। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের আরও তিন কর্মকর্তা মির্জা পারভেজ (৩০), মোখলেসুর রহমান (৩৫) ও মোস্তাফিজুর রহমান (৩৯) গুলিবিদ্ধ হন। সিদ্দিকসহ আহদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সিদ্দিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বনানী থানায় নিহত ব্যবসায়ী সিদ্দিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সিদ্দিক হোসেন মুন্সি তার স্ত্রী জোসনা বেগম, দুই মেয়ে সাবরিনা সুলতানা ও সাবিহা সিদ্দিক এবং ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কে একটি বাসায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত সিদ্দিকের বুকের বামপাশে একটি গুলি ঢুকে পিঠের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আর একটি গুলি তার বাম হাতে লাগে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যাকান্ডের পর সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে চারজন সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি ছিল আড়াই মিনিটের কিলিং মিশন। এ হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত চারজনকে গ্রেফতারে নগরবাসী তথা জনসাধারণের সহায়তা চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।