পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজউকের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পে কম দামে ফ্ল্যাট পাবেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা। এ প্রকল্পে ২৫ ও ২০ তলার ৯১টি সুউচ্চ ভবনে প্রায় ১৪ হাজার ৯২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে। প্রায় ১৬০ একর জমি নিয়ে নির্মাণাধীন ঝিলমিল প্রকল্পে প্রতিবর্গফুটের মূল্য ধরা হবে মাত্র সাড়ে ৪ হাজার টাকা। ফ্ল্যাটগুলো হবে ১৬ শ’ এবং ১৪ শ বর্গফুটের। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্পটির ত্রিদেশীয় কনসোর্টিয়ামের সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে মালয়েশিয়ার বিএনজি গেøাবাল হোল্ডিংস এসডিএন বিএইচডি, চীনের জিয়াংশি কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (গ্রুপ) কোং লি: এবং বাংলাদেশের মাল্টিপেক্স হোল্ডিং লি:। প্রকল্পটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), পাবলিক-প্রাইভেট কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাস্তবায়িত হবে। রাজউক সুত্রে এসব তথ্য জানিয়েছে। গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, ঝিলমিল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আমরা এ দেশে সর্বপ্রথম ইন্ট্রাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি। খুব সহনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়া যাবে। মন্ত্রী বলেন, প্রতিবর্গ ফুটে মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা মূল্য ধরা হয়েছে। যাদের ঢাকায় কোন নিজস্ব জমি নেই কেবল তারাই এখানে ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। এখানে ফ্ল্যাটের দাম বেশ সহনীয় রাখা হয়েছে, যাতে সবাই সহজেই ফ্ল্যাট কিনতে পারে।
রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুর রহমান বলেন, ঝিলমিল প্রকল্পটি হবে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের আবাসন স্থল। কম দামে তারা ফ্ল্যাট পাবেন। ১৪ শ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের প্রতিবর্গফুটের মূল্য ধরা হবে ৪ হাজার তেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
রাজউক জানায়, ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় ১৬০ একর (কমবেশি) জমিতে ডিবিএফটিএম মডেলে কনসোর্টিয়াম ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সুবিধাসহ নিজস্ব ডিজাইনে এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর আবাসনের চাপ অনেকটা কমবে। প্রায় ১৪ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে।
জানা যায়, রাজউক নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকদের কাছে এ্যাপার্টমেন্টসমূহ সহজ কিস্তিতে বিক্রি করবে। ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্ক এ ২ কোটি ৭০ লাখ বর্গফুটেরও বেশি ভৌত সুবিধা নির্মিত হবে। এতে ২ ধরনের এ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এছাড়া ৯হাজার২২২টি কার পার্কিং, মসজিদ, হেলথ ক্লাব, ২টি রেস্তোরা, কমিউনিটি সেন্টারসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা থাকবে। ৪ বছরের মধ্যে ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্ক নির্মিত হবে। এতে ২ ধরনের এ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। ১,৬০০ বর্গফুটের এ্যাপার্টমেন্টের জন্য ২০তলা ১৪টি এবং ২৫তলা ১৪টিসহ মোট ২৮টি ভবন নির্মাণ করা হবে। এসব ভবনে মোট এ্যাপার্টমেন্ট সংখ্যা হবে ৪ হাজার ৬৩৪টি। ১,৪০০ বর্গফুট এ্যাপার্টমেন্টের জন্য ২০তলা ৬৩টি ভবনে এ্যাপার্টমেন্ট সংখ্যা হবে ৯ হাজার ১৯৮টি। মোট ৯১টি বহুতল ভবনে ২ ধরনের মোট এ্যাপার্টমেন্ট সংখ্যা হবে ১৩ হাজার ৮৩২টি।
প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল লতিফ হিলালি বলেন,ঝিলমিল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আইবিএস (ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড বিল্ডিং সিস্টেম) চালু হতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৯১টি সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করা হবে। যেগুলোর মধ্যে ৬০টি হবে বিশতলা ও ৩১টি হবে পঁচিশতলা ভবন। মোট এ্যাপার্টমেন্ট হবে ১৩ হাজার ৯২০টি। ১৬০ একর জায়গার ওপর এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। কাজ পুরোপুরি শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘সকলের জন্য আবাসন’ বাস্তবায়নের কাজ একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটির ত্রিদেশীয় কনসোর্টিয়ামের সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে মালয়েশিয়ার বিএনজি গেøাবাল হোল্ডিংস এসডিএন বিএইচডি, চীনের জিয়াংশি কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (গ্রুপ) কোং লি: এবং বাংলাদেশের মাল্টিপেক্স হোল্ডিং লি:। প্রকল্পটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), পাবলিক-প্রাইভেট কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত¡াবধানে বাস্তবায়িত হবে।
রাজউক এ বছরের জানুয়ারিতে ‘ডেভেলপমেন্ট অব ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্ক’ নামের পিপিপি প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাব আহ্বান করে। গত ২২ মার্চ প্রস্তাব জমা দেয়া হয়। সরকারের অনুমোদনের পর গত ১৪ অক্টোবর ত্রিদেশীয় কনসোর্টিয়ামকে কার্যাদেশ দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।