পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গুলিস্তানের মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুর রহমান জিদান (১১) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আবু বক্করকে (১৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব। ওই মাদ্রাসারই সিনিয়র শিক্ষার্থী বক্কর শিশু জিদানের মূল হত্যাকারী বলে ধারণা পুলিশের। মাদ্রাসার শিক্ষক ও অন্য শিক্ষার্থীরাও তাকে খুনি বলে চিহ্নিত করছেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সদরঘাট এলাকা থেকে বক্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিক্ষকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সোমবার ভোরে মাদ্রাসার বাথরুম- গোসলখানার সেফটি ট্যাঙ্কের ম্যানহোল থেকে জিদানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয় বলে ধারণা করছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। নিহত জিদান মাদ্রাসাটির হেফজ শাখার ছাত্র এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জালেরশর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। ছেলের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঢাকায় ছুটে এসে তিনি পল্টন থানায় আবু বক্করের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আবু বক্কর পলাতক ছিল। সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে হাফেজ হয়েছে আবু বক্কর। শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ পারা কোরআন পড়ে শোনানোর পর মাদ্রাসা ছাড়ার কথা ছিল তার। সিনিয়র হওয়ায় অন্য শিক্ষার্থীদের নেতা বক্কর সবাইকে তার কথা শুনতে বাধ্য করতো। নিহত জিদান ও গ্রেফতারকৃত বক্কর দু’জনেই মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নিহত জিদান ও গ্রেফতারকৃত বক্কর দু’জনেই মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র থেকে লেখাপড়া করছিল জিদান। অন্য শিক্ষার্থীরা বলেন, গত কোরবানির ঈদের পর থেকে ওদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে আবু বক্কর প্রায়ই জিদানকে মারধর করতো। জিদানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমাদেরকেও মারধর করতো। প্রায় সময়ই বক্কর আমাদেরকে বলতো- আমি একটা ছুরি কিনুম, জিদানকে খুন করমু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।