Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে শীতের সবজি

| প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা : বন্যায় কাঁদিয়ে ছিল জয়পুরহাটের কৃষককে, একে একে ডুবিয়ে নিচ্ছিলো তাদের স্বপ্ন। কেউ পরো ফসলি জমির পাকা ফসল হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছে রোপা ধান, কেউ হারিয়েছ গোয়ালের গরু। হারিয়ে যাওয়ার দুঃখ ও যন্ত্রণা ভুলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যার পর পলি মাটিতে আগাম শীতের সবজী চাষ করে লাভবান হয়ে ভুলতে বসেছেন অতিথের দুঃখ।
জয়পুরহাট জেলায় বন্যার কারণে ধান সবজী সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে আগাম জাতের সবজী চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ।বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতের সবজী। বাজার দর ভালো থাকায় আগাম সবজী চাষে লাভের মুখ দেখছেন এলাকার কৃষকরা। কপি, মূলা সিম থেকে শুরু করে শীতের আগাম সবজী তে ভরে গেছে জয়পুরহাটের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার নতুনহাট । দুবারের বন্যায় কৃষকের হতাশার ছাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে এ আগাম জাতের শীতের সবজী । ভালো মুল্যে পাওয়ায় তাদের মূখে হাসি ফুটেছে।আরো কিছুদিন এমন মূল্যে প্রত্যাশা তাদের।
স্থানিয় কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, চলতি ২০১৭-১৮ ফসল চাষ মৌসুমের আওতায় জেলায় সবজী চাষে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে শাক সবজী ৬ হাজার ৪০ হেক্টর, ইতি মধ্যে অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ২৬৫ হেক্টের।এছাড়া বেগুন ৬৮৭ হে, মরিচ ৪৩২ হে, তিল ১০৫ হে, বরবটি ১০ হে,ঝিংগা ৮০ হে,কাকরোল ৪০ হে,চিচিংগা ৫৫ হে, চাল কুমড়া ১৭৫ হে,কুমড়া ৩৮০ হে, ডাটা ২৪০ হে,পুঁইশাক ২২৫ হে, লাল শাক ২৮০ হে, কলমী শাক ৮৫ হে, শষা ২৬৫ হে,ফুলকপি ১৬ হে, বাধাকপি ১২ হে, মূলা ৪০ হে, জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য়করা হয়েছে।লতিরাজ কচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর জমি। সব মিলে এবার সবজীর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ৬০ হাজার ৫৪০ মে.টন যা জেলার সবজী চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব। জেলায় এবার বন্যা ্র নিম্নচাপের কারণে ধান এবং আগাম জাতের শাক সবজী ব্যাপক ক্ষতি হয় । কৃষকরা সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে নতুন করে সবজী চাষে ঝাপিয়ে পড়ে। দাম বেশী পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।
জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শন্তা গ্রামের কৃষক হান্নান মন্ডল দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান । একই গ্রামের কৃষক আলামিন হোসেন বলেন ১ বিঘা জমিতে মূলা চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। পূর্ব পারুলিয়া গ্রামের এন্তাজ আলী জানান, নিজের দেড় বিঘা জমি সহ ওই এলাকায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে এবার ফুলকপি বাধাকপির চাষ হয়েছে।পারুলিয়া গ্রামটি সবজী গ্রাম নামে পরিচিত সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলায় ১হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলে ও প্রায় ১২শ হেক্টর জমি ছাড়িয়ে গেছে ইতি মধ্যে
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ বলেন, জয়পুরহাটের কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুশিয়ে নিতে বর্তমানে বাস্তুু সময় পার করছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ