রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য আহরণ ও কৃষিতে কিটনাশক ব্যবহারের বিরূপ প্রভাব
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সৈয়দ জুনাঈদ মো. হাবিব উল্লাহ : মিঠা পানির মাছের জন্য বিখ্যাত ডলু নদীর সাতকানিয়া অংশ মৎস্যশূন্য হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য আহরণ ও কৃষিতে অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ডলু নদী থেকে বিলুপ্ত হতে চলছে নানা প্রজাতির মিঠা পানির মাছ। এই অবস্থা চলতে থাকলে মিঠা পানির মাছের জন্য বিখ্যাত ডলু নদীর মৎস্য ভান্ডারের অবশিষ্ট অংশ ও নিঃশ্ব হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানায়, লুসাই পাহাড় থেকে টংকাবর্তী খাল হয়ে লোহাগাড়া সাতকানিয়ার ওপর দিয়ে সর্পিল গতিতে প্রবাহিত হয়ে সাতকানিয়া উপজেলার উপর দিয়ে সাঙ্গু নদীর সাথে মিশে কর্ণফুলী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। ডলু নদীর সাথে নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবন জীবিকার সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এই নদী মিঠা পানির মাছের জন্য বিখ্যাত। এক সময় ডলু নদী থেকে মৎস্য শিকার করে শত শত মৎস্যজীবী জেলেরা তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করত। কালের পরিক্রমায় অনেকেই এখন এই পেশার বদল করে অন্যভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে। দুই উপজেলার মানুষের কাছে মিঠা পানির মাছ হিসেবে ডলু নদীর মাছের চাহিদা ছিল ব্যাপক। সাতকানিয়ার জেলেরা জানিয়েছেন, একসময় ডলু নদীতে রুই, কাতলা, মৃগেল, গুইল্যা, বাউশ, সরপুটি, বাইলা, চিংড়ি, ফলি মাছসহ নানা প্রজাতির মাছে পরিপূর্ণ ছিল। নদী, খাল, ডোবাতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। ধানের জমিতে পর্যাপ্ত মাছ থাকত। জেলেরা নদীতে জাল ফেলে হরেকরকম মাছ আহরণ করে সকাল-বিকাল বাজারে মাছ বিক্রি করত। এসব স্মৃতি সাতকানিয়ার মানুষের জন্য শুধুই অতীত। সাম্প্রতিক সময়ে অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য আহরণ ও কৃষিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ডলু নদীর সাতকানিয়াংশ মৎস্যশূন্য হতে চলেছে। এতে করে ডলু নদীতে মাছের প্রজনন বিঘিত হচ্ছে। একটি বেসরকারি জরিপে দেখা গেছে, কৃষিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ডলু নদীতে ৫৪ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বিলুপ্তির পথে রয়েছে। অপরদিকে ডলু নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য আহরণের কারণে মৎস্য সম্পদ অস্বভাবিকভাবে কমে যাচ্ছে। নদীর তল দেশ এখন মাছের জন্য খা খা করছে। একশ্রেণির লোভী মৎস্যশিকারী নদীতে ঘের দিয়ে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে অপরিকল্পিতভাবে মাছ শিকার করছে। এক কালের মিঠা পানির মাছে পরিপূর্ণ ডলু নদীর মৎস্য ভান্ডারের অবশিষ্ট অংশ রক্ষার্থে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।