রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পঞ্চগড় থেকে এস এম লায়েক আলী : সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ পঞ্চগড়ের অধীন পঞ্চগড়ের দুইটি শত কোটি টাকার আঞ্চলিক রাস্তায় অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করায় রাস্তাটি মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জনদুর্ভোগসহ বাড়ছে দুর্ঘটনা। যেন দেখার কেউ নেই।
দেশের উত্তর জনপদের শেষ জেলা পঞ্চগড়ের দুইটি আঞ্চলিক রাস্তা এখন প্রভাবশালী কুচক্রিদের দখলে। দখলদাররা অনেকে রাজনৈতিক দলের স্থানীয় এমপির প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালু ব্যবসা পরিচালনা করছে। এসব নামধারী ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও দলের অভ্যন্তরে কিছু অখ্যাত নেতাকর্মীদের উৎকোচ দিয়ে এই সড়কের উপড়ে বড় বড় বালুর স্ত‚প করে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ট্রলি তে বালু লোড দিচ্ছে। ফলে নদীর পাশে অবস্থিত বেশির ভাগ সড়ক ভেঙে চুর্নবিচুর্ণ হয়ে চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।
জানা গেছে, পঞ্চগড়ের বালুর চাহিদা সারাদেশে বেড়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন বালু কিনতে আসছে ওই এসব অঞ্চলের বড় বড় বালু ব্যবসায়ীরা। পঞ্চগড় এলাকার বালুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় চাহিদার অনুপাতে বালুর রাখার রাস্তার জায়গা দিন দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে। ব্যবাসায়ীরা নিজ উদ্যোগে কোনোরকম জায়গা তৈরি না করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়কেই যেনতেনভাবে বড় বালুর স্ত‚প করে রাখায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল, রিকশা, সাইকেল ভ্যানসহ ছোট-বড় যান চলাচল দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কখনো কখনো দুর্ঘটনায় পড়ে অনেকে শারীরিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। স্থানীয়রা কোথাও গিয়ে এসবের প্রতিকার পাচ্ছেন না।
বিগত প্রায় চার-পাঁচ বছরের নির্মিত এই সড়কটি দুইটিতে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করে রাস্তাটি ভেঙেচুরে খান খান করে দিয়েছে। পঞ্চগড়ের ভজনপুর নিজবাড়ি হয়ে মীরগড়-ময়নাগুড়ির রাস্তাটির পাশেই ভারত। নদীর তীর ঘেঁষে রাস্তাটি দুই ভাগে বিভক্ত। সংযোগ স্থলে যে সড়কটি পঞ্চগড় শহরের ব্যরিস্টার বাজারে এসেছে এটি আবার এলজিইডির অংশ। যা দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এই রাস্তাটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
নিজবাড়ি হয়ে ময়নাগুড়ি-মীরগড়ের রাস্তাটির যেখানে সেখানে ভেঙে গুড়িয়ে গেছে। আমতলা-কাজীপাড়া হয়ে বোদাপাড়া রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় ভেঙে পাশের জমিতে মিশে যেতে বসেছে। বোদাপাড়ায় বালুর ব্যবসা করছে মো. সাবেদুল ও মো. সুরুজ আলী। তারা প্রতিদিন ২০-৩০টি ১০ চাকার ট্রাক লোড দিয়ে থাকে বলে সেখানকার লোকজন জানান। আর এসব বালু নদী হতে ট্রলিতে করে ওই রাস্তা দিয়ে আনা হয়।
এদিকে পঞ্চগড় সুগার মিলস থেকে আহাম্মদ নগর হয়ে মাড়েয়া দেবীগঞ্জ রাস্তাটির একই অবস্থা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন এই রাস্তাটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই রাস্তার বেংহাড়ী ইউনিয়নের ফুলতলা, আউলিয়া ঘাট তেপুকুরিয়া-বোয়ালমারী ও ফুটকীবাড়ী বাজারের রাস্তার উপরে বড় বড় বালির স্ত‚প । এই পাঁচটি পয়েন্টের রাস্তায় প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালুর লোড করে যেখানে সেখানে মারণ ফাঁদে পরিণত করেছে। পঞ্চগড়-দেগীগঞ্জ মাড়েয়া সড়কে ব্যবসা করছে জুয়েল চৌধুরী, মো. আজাদ মাড়েয়া ইউপি সদস্য মো. মশিউর রহমান, নিরেন ও মো. তোফাজ্জল হোসেন (পাগলা)।
এসব এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ম্যানেজ করে বালু ব্যবসায়ীরা কাউকে ‘ডন কেয়ার’ করে সরকারের শত কোটি টাকার রাস্তার বেহাল দশা করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগ (সওজ) পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দেবদয়াল সরকারের সাথে বললে তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডলের কাছে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমাকে তো জানাতে হবে’। প্রতি মাসে মিটিং হয় ডিসি অফিসে, কই কেউ তো কিছু বলে না। তারা যদি বলে, তা হলে না আমি ব্যবস্থা নেবো’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।