Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলু উত্তোলন না করায় বিপাকে কোল্ড স্টোর মালিকরা

| প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মো. গোলাম ফারুক : দুপচাঁচিয়া উপজেলার স্টোরগুলোতে হাজার হাজার মণ বস্তা ভর্তি আলু পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আলু সংরক্ষণের মেয়াদ প্রায় শেষ হলেও বাজারে আলুর মূল্য না থাকায় আলুর মালিক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু না তোলায় স্টোর মালিকরা বিপাকে পড়েছেন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে দুইটি কোল্ড স্টোর রয়েছে। কোল্ড স্টোরগুলো হলো- সাহাদাত কোল্ড স্টোর ও সাহারা কোল্ড স্টোর। প্রতি বছরই কোল্ড স্টোরগুলোতে দুপচাঁচিয়া উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী কাহালু, আদমদীঘি, কালাই-ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা তাদের হাজার হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করেন। আগাম আলু উত্তোলনের পূর্ব পর্যন্ত এই আলু তারা বাজারে বিক্রয় করে থাকেন। এবার হঠ্যাৎ আলুর দাম নিম্নমুখী হওয়ায় কৃষকরা কোল্ড স্টোর থেকে আলু উত্তোলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা বড় আলু (৮৫ কেজি) এক হাজার ১০০ টাকা। অপরদিকে ছোট বা বীজ আলু প্রতি বস্তা (৮৫ কেজি) ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শনিবার ধাপ এলাকার সাহাদত কোল্ড স্টোরে সরেজমিন দেখা গেছে, শত শত বস্তা আলু এখনো কোল্ড স্টোরে সংরক্ষিত। অনেকেই স্টোর মালিকের চাপে আলু উত্তোলন করে কোল্ড স্টোরের বারান্দায় বস্তা ঢিব করে রেখেছেন। অনেক কৃষক আবার আলুগুলো বারান্দায় ছিটিয়ে বাজারজাত করার উপযোগী করছেন। এ ব্যাপারে আলু ব্যবসায়ী উপজেলা সদরের ছোট ধাপ এলাকার ইয়াছিন আলীর ছেলে এমদাদুল হক (২৫) আটগ্রাম কয়াপাড়ার রজিব উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের (৪৫) দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বর্তমানে বাজারে যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে, স্টোর থেকে আলু উত্তোলন করে তা বিক্রি করলে তাদের খরচের টাকাই উঠবে না। আলুর দাম দিন দিন নিম্নমুখী হওয়ার কারণ চিহ্নিত করে তারা জানান, দু’দফা বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা দেরীতে আমন ধান রোপণ করেছিলেন। সেই ধান কাটা মাড়াই এখনো শুরুই হয়নি। ফলে কোল্ড স্টোর থেকে উত্তোলণ করা আলুরবীজ এখনো কৃষকরা ক্রয় করা শুরু করেননি। এ ছাড়াও সরকারিভাবে বাজার মনিটোরিং না করায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো আলুর দাম কমবেশি করছেন, দিন দিন যা নিম্নমুখী হচ্ছে। স্টোরের এ আলু বর্তমান বাজার দরে বিক্রি করলে আলু রোপণের খরচসহ স্টোর ভাড়া হবে না। এদিকে উপজেলার স্টোরগুলোতে আলু সংরক্ষণের মেয়াদ প্রায় শেষ হলেও তা উত্তোলন না করায় স্টোর মালিকরা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। তারা স্টোরগুলো খালি করতে এলাকায় আলুর মালিক ও ব্যবসায়ীদের আলু উত্তোলনের জন্য অনুরোধ জানালেও তাদের সাড়া পাচ্ছেন না। ফলে স্টোর মালিকরা এই সব আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ