বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে একের পর এক ইয়াবার চালান আটক হলেও এর পেছনে জড়িত গডফাদাররা প্রতিবারেই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে গত এক বছরে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি ইয়াবাসহ ১৩৫ জন পাচারকারীকে আটক করে রেকর্ড গড়েছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। থানা থেকে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ইয়াবা পাচারের নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে আনোয়ারা উপক‚লের বিভিন্ন পয়েন্ট। বিশেষ করে মিয়ানমারের ৩৭টি কারখানা থেকে আনোয়ারার ১২টি পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে সর্বনাশা ইয়াবা। পয়েন্টগুলো হচ্ছে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাঁচা মাঝির ঘাট, উঠান মাঝির ঘাট, দোভাষী বাজার ঘাট, ছিপাতলী ঘাট, গলা কাটার ঘাট, বার আউলিয়ার ঘাট, দক্ষিণ গহিরা ঘাটকুল, পূর্ব গহিরা তেলিপাড়া, পরুয়াপাড়া বাতিঘর, পারকি সমুদ্র সৈকত, জুঁইদন্ডী শঙ্খপাড় ও তৈলারদ্বীপ ফেরিঘাট। আর সেখান থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন সড়ক ও নৌপথে এসব ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। থানা সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত আনোয়ারা থানা পুলিশ ২২ কোটি ৫৪ লক্ষ ৩১ হাজার চারশ’ টাকা মূল্যের ৭ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৮ পিস ইয়াবাসহ ১৩৫ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। তাছাড়া ১৮ লক্ষ ৪২ হাজার আটশ’ টাকা মূল্যের দেশিয় তৈরি চোলাই মদ, ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৪টি মহিষ, ১৫১টি এক হাজার টাকার জাল নোট, ৩টি দেশিয় তৈরি এলজি, ১৬টি বার বোর কার্তুজসহ বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও বিদেশি মদ জব্দ করেছে পুলিশ। আনোয়ারা থানার এএসআই রেজাউল করিম বলেন, এসব ঘটনায় ৯২টি মামলা হয়েছে থানায়। আর এসব মামলার আসামি ১৪৩ জনের মধ্যে ১৩৫ জন গ্রেফতার রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইতিপূর্বে বড় বড় ইয়াবার চালান আটক হলেও বরাবরের মতই এ ব্যবসার সাথে জড়িত গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে আড়ালে। তবে গত এক বছরে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানোর ফলে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ ধরা পড়েছে। বাকিরা বেশ কিছুদিন ধরে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের মধ্যে ইউসুফ ওরফে কালা মনু, মো. ফয়েজ,হাসান মাঝি, ইদ্রিচ ওরফে কালু, আনোয়ার, মামুন, ইউছুপ ও সোলেমান মানুসহ আরও অনেকে আড়ালে থেকে পুনরায় নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে এ ব্যবসা এমন অভিযোগও উঠেছে। এদিকে জেল ফেরত অনেকে নতুন করে এ ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তবে নৌপথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে সড়ক পথকে বেছে নিয়ে ইয়াবা পাচার চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এমনিভাবে গত ১৪ নভেম্বর উপজেলার শোলকাটা এলাকায় পিএবি সড়কে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ কায়সার উদ্দিন (২৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশের একটি দল। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মফিজ উদ্দিন বলেন,গত এক বছরে আনোয়ারা থানা পুলিশ রেকর্ড পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করেছে। আগের চেয়ে আনোয়ারায় ইয়াবা পাচার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।