Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পীরগাছায় ৩০ ভ‚মিহীন পরিবারের বসবাস অনিশ্চিত

| প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার রবিউল আলম বিপ্লব,পীরগাছা (রংপুর) থেকে : রংপুরের পীরগাছায় নির্ধারিত সময় শেষের পরও নির্মাণ হয়নি গুচ্ছগ্রাম। নামমাত্র কাজ করে বরাদ্দকৃত অর্থ শেষ দেখিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণের নামে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে উপজেলার ৩০টি ভূমিহীন পরিবারের বসবাসে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে গুচ্ছগ্রাম এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের জুয়ান গ্রামে ৪ একর জমির ওপর সরকার ৪০ টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে দেয়। বর্তমান গুচ্ছগ্রামটির পাশে আরো ৩০ টি পরিবারের বসবাসের জন্য ১২০ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য ব্যয়ে মাঠ ভরাট ও প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের শুরুতে নামমাত্র মাটি ভরাট করা হলেও তা বসবাসের উপযুক্ত নয় বলে স্থানীয়রা জানান। যে কোন সময় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এদিকে নামমাত্র মাটি ভরাট করে প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া সমুদয় খাদ্য শস্য উত্তোলন করে আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বসবাসের অনুপযোগী স্থানটিতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এসব ঘর নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নি¤œমানের গৃহ সামগ্রী দিয়ে অবকাঠামো তৈরীর অভিযোগ উঠেছে। ৩০ জুন মাটি ভরাট ও ঘর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত করা হয়নি। দায়সারা ভাবে অবকাঠামো তৈরী করে উপজেলা পরিষদের মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে। জানা যায়, উক্ত প্রকল্পের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে সভাপতি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সদস্য সচিব ছিলেন।। কিন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় সহকারী কমিশনার(ভূমি) দুটি পদের দায়িত্বে থাকায় ইচ্ছা মত প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যান। তিনি নি¤œ মানের রড, এ্যাঙ্গেলসহ অন্যান্য গৃহ সামগ্রী ক্রয় করে অবকাঠামো তৈরীর কাজ চালান। তদারকীর দায়িত্বে নিজে থাকায় উপজেলা পরিষদের ভিতরে অবকাঠাম্ োনির্মাণের কাজ করেন।
ফলে শত শত লোক নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ উপভোগ করেন। বর্তমানে গুচ্ছগ্রামটির নির্মাণ কাজের জন্য নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরী করা কংক্রিটের পিলার গুলি উপজেলা পরিষদ মাঠে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে অবকাঠামো তৈরী করা হলে নাম মাত্র অর্থ ব্যয় হবে। এবং যে কোন মুুহূর্র্তে দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ এর নিকট প্রকল্পের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ শেষ। এখন ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সাবেক সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অদাঃ) ও সাবেক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বদলীজনীত কারণে অন্যত্র চলে যান। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির জানান, সঠিক নিয়মে গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণ কাজ চলছে। বন্যার কারণে কাজ করতে বিলম্ব হয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ