Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অনিয়ম ও অব্যবস্থার অভিযোগ ফলাফল বাতিল দাবি

হাবিপ্রবির প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সংবাদ সম্মেলন

| প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দিনাজপুর অফিস : ছাত্র-ছাত্রী বা অভিভাবক নয় এবার খোদ অনিয়মের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম। গতকাল শনিবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা’র ঘোষিত ফলাফল বাতিলের দাবী জানানো হয়েছে। একই সাথে সংশোধিত ফল প্রকাশ এবং ভর্তি কমিটির আহŸায়ক ও সদস্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবী জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য গত কয়েকমাস আগে বিশ^বিদ্যালয়ের নুতন ভিসি যোগদান করার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া শিক্ষকরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি পক্ষ সাবেক ভিসি অপর একটি পক্ষ বর্তমান ভিসি’র পক্ষ গ্রহন করে।
শনিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. বলরাম রায় ও সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আনিস খান স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে ৫-৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হাবিপ্রবির ৭টি অনুষদের প্রথম বর্ষ অনার্স শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় নজিরবিহীন অনিয়ম, প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিটে গড়মিল, আসন বিন্যাসে ব্যাপক অনিয়ম এবং বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ এনে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে সংশোধিত ফলাফল ঘোষনার দাবী জানিয়েছেন। ফোরামের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে অবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহŸায়ক ও সদস্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভর্তি কমিটির সহকারী সদস্য সচিব ড. মোঃ খালিদ হোসেন প্রশ্নপত্রসহ গোপনীয় কাজে জড়িত থাকার পরেও “প্লাসমিড প্লাস” নামক একটি ভর্তি সহায়িকা প্রকাশনার উদ্বোধন ও পৃষ্ঠপোষকতা করে ভর্তি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গাইড বাণিজ্য একটি শাস্তিমূলক অপরাধ। আসন বিন্যাসে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একই পরীক্ষা রুমে কেবল ছাত্রী, একই জেলার পরীক্ষার্থী, কেবল ছাত্রদের আসন বিন্যাসের মাধ্যমে বিশেষ গোষ্ঠীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনৈতিক সুযোগ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ভিসির নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির ৭ জন সদস্য ফলাফল শিটে অনিয়ম, অব্যবস্থা ও রীতি বিরুদ্ধ প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রতিবাদে স্বাক্ষর করেননি। চরম ত্রæটিপূর্ণ প্রশ্নের কারণে বিভিন্ন অনুষদে মেধাবী ছাত্রদের সঠিক ফলাফল থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে বলা হয়, ফলাফল বিশ্লেষণে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এফ-১ শিফটে মাত্র ৪৭ জন আর এফ-২ শিফটে ২৬৩ জন পরীক্ষার্থী মেধায় চান্স পেয়েছেন। এ ধরনের ফলাফল কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাপক অনিয়মের কারণেই ৭টি ইউনিটের ত্রæটিপূর্ণ ফলাফলের কারণে প্রকৃত মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান, প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এস এম হারুন-উর-রশিদ, প্রফেসর ড. মোঃ নাজিমুদ্দিন, প্রফেসর ড. মোঃ মামুনুর রশিদ এবং ড. মোঃ ফেরদৌস মেহেবুব উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ