রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেল লাইন প্রকল্পের পৌরশহরের দেবগ্রাম অংশে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং সীমানা নির্ধারণ করে কাজ করার দাবী জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার সকালে দেবগ্রাম পশ্চিম পাড়া মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ দাবী জানানো হয়। দেবগ্রাম সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আবুল হাসেম। এসময় বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর বাবুল মিয়া, হাজী নান্নু মিয়া, নোয়াব মিয়া,মো: ফারুক প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে সীমানা চিহ্নিত করার আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোর করে আমাদের গাছ-পালা কেটে ফেলছে। বাড়ির ভিতরে লাল নিশানা দিয়ে খুঁটি দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করে এবং সীমানা চিহ্নিত করে কাজ করার দাবী করেন তারা।
সম্প্রতি আখাউড়া-লাকসাম রেলপথে ডাবল রেল লাইন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে তমা গ্রæপ। ডাবল লাইন নির্মাণের জন্য বর্তমান রেল লাইনের উভয় পাশে জায়গা ভরাটের কাজ চলছে। দেবগ্রাম অংশে রেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল রেললাইনের পূর্ব পাশে ৩৮ ফুট এবং পশ্চিম পাশে ৫২ ফুট পর্যন্ত রেলওয়ের জায়গা। কিন্তু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান তমা গ্রæপের লোকজন কাউকে কিছু না বলে পূর্ব দিকে ৫২ ফুট এবং পশ্চিম দিকে ৬২ ফুট দূরে লাল নিশানা দিয়ে খুঁটি বসিয়েছে। রেলের পূর্বের নির্ধারিত জায়গা থেকে খুঁটিগুলো অনেক বেশি ভিতরে বসানো হয়েছে। এতে বহু বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, পুকুর ও মসজিদ ভাঙা পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
ক্ষতিগ্রস্থ কাউছার মিয়া বলেন, আমার সামান্য একটু ভিটে ছাড়া আর কোন জমিজমা নাই। এই জায়গাটুকু রেল নিয়ে গেলে আমি কোথায় গিয়ে থাকবো। পশ্চিম পাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি নান্নু মিয়া বলেন, আমরা নিজস্ব জায়গায় মসজিদ করেছি। এখন ডাবল রেল লাইন কাজের লোকজন যেভাবে খুটি বসিয়েছে তাতে মসজিদটি সম্পূর্ণ ভাঙা পড়বে।
দেব্রগাম সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল রেলের পূর্ব পাশে ৩৮ ফুট এবং পশ্চিম পাশে ৫২ ফুট পর্যন্ত রেলওয়ের জায়গা। কিন্তু এখন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পূর্বে ৫২ ফুট এবং পশ্চিম পাশে ৬২ ফুট দূরে লাল নিশানা দিয়ে খুঁটি বসিয়েছে। এতে মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় ৩ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ ক্ষতি পূরণ পেয়েছে। বাকীরা এখনও ক্ষতিপূরণ পায়নি। পৌর কাউন্সিলর মো: বাবুল মিয়া বলেন, দেশের স্বাথে, উন্নয়নের স্বার্থে আমরা জায়গা দিতে রাজি। তবে আমাদের সাথে রেলের সীমানা নির্ধারণ করে ক্ষতিগ্রস্থদেরকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ করা হউক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।