Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনামসজিদ বন্দরে ৪ মাসে ৭৫ হাজার মে. টন পেঁয়াজ আমদানি

| প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে মো. কামাল হোসেন : চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত সাড়ে চার মাসে প্রায় ৭৫ হাজার মে. টন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও ঝাঁজ কমছে না পেঁয়াজের বাজারে। জানাগেছে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত জুলাই মাসে ১৯ হাজার ৪৮৬ মে. টন, আগস্ট মাসে ২২ হাজার ২৯৬ মে. টন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ হাজার ১৩৬ মে. টন, অক্টোবর মাসে ১২ হাজার ১৫০ মে. টন ও চলতি নভেম্বর মাসে ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মে. টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। কাস্টমসের দেয়া তথ্য অনুসারে- গত চার মাসের মধ্যে আগস্ট মাসে পেঁয়াজ আমদানি বেশি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে পেঁয়াজ আমদানি কম হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিকারক আবদুল ওহাব ও সিএন্ডএফ এজেন্ট আবদুস সাত্তার জানান, ভারতে যেসব অঞ্চলে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে অতিবর্ষণের কারণে ওই অঞ্চলগুলোতে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। যার ফলে ভারত থেকে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে।
আমদানিকারকেরা জানান, কমপক্ষে আরো একমাস বর্তমান পেঁয়াজের বাজার মূল্য অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করছেন। এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ- পেঁয়াজ উৎপাদন পরিকল্পনায় ঘাটতির কারণেই প্রতিবছর অতিরিক্ত মূল্যে ভারত থেকে বাধ্য হয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, দুই মাস আগে টন প্রতি দেড়’শ থেকে দু’শ ডলারের এলসি করলেও বর্তমানে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে চার’শ থেকে পাঁচ’শ ডলারে। পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। ক্রেতাদের অভিযোগ- প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়। কিন্তু পেঁয়াজ সংকটের কারণে মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পচনশীল পণ্য হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে তাদের। বেশি দামে কেনার কারণেই খুচরা বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের মূল্য। শুধু তাই নয়, অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে মন করছেন অনেকেই। দেশীয় পেঁয়াজের মজুদ না থাকায় বেড়েছে ভোক্তা চাহিদা। রফতানিকারকদের দাবি- প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতির মুখোমুখি তারা।
এব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের দায়িত¦রত ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম জানান, শুল্কমুক্ত পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানিতে জটিলতার সুযোগ নেই। এর পরেও ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদনের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি-নির্ভরশীলতা কমাতে দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ ব্যবসায়ীদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ