স্টাফ রিপোর্টার : দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ নিয়মিত রক্ত দান করলে রক্তের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। বাংলাদেশ এখনো এক্ষেত্রে পিছিয়ে। এছাড়া নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা আরও জোরদার করে শতভাগ রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার গুরুত্বারোপ করেন। গতকাল রাজধানীর একটি হেটেলে ২ দিনব্যাপী রক্ত পরিঞ্চালন বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা জানান।
এশিয়ান এ্যাসোশিয়েশন অব ট্রান্সফিউশান মেডিসিন (এএটিএম) ও সেটা বø্যাড ট্রান্সফিউশান সোসাইটি অব বাংলাদেশ ( বিটিএসবি) আয়োজিত এ সেমিনারে অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল আহসান খান, স্বাধিনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. এম.ইকবাল আর্সালান ও এশিয়ান এ্যাসোশিয়েশন অব ট্রান্সফিউশান মেডিসিন (এএটিএম) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারপার্সন প্রফেসর ডা. এম. বদরুল ইসলাম।
নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কর্মসূচির পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা গত ১০ বছরে ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার শতভাগ। ভারতেও এই হার ৬৫ শতাংশ। এই জায়গায় বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে।