বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিশ্বের একমাত্র অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল (উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল) এখন চট্টগ্রামে। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে, ন্যাশনাল আই কেয়ার এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতায় ২০০৯ সালের পর আবারো এটি ১০ম বারের মতো বাংলাদেশে এসেছে। আর চট্টগ্রামে আসল ৪র্থ বারের মতো। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইমরান সেমিনার হলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামে হাসপাতালের কার্যক্রম প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার অরবিস ইন্টারন্যাশনালের এই ফ্লাইং আই হাসপাতাল চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি অবস্থান করবে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন, ফ্লাইং আই হাসপাতালের পরিচালক জে বারগুইস, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনীর আহমেদ এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে কান্ট্রি প্রোগ্রাম কর্মকর্তাগণ।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত পৃথিবীর একমাত্র ‘ফ্লাইং আই হসপিটাল’ শুধু হাসপাতালই নয়, এটা একটি সর্বাধুনিক, মানসম্মত, স্বয়ংসম্পূর্ণ আমেরিকান এক্রিডেটিশন প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ হাসপাতাল। চোখের জটিল রোগের চিকিৎসা এবং চক্ষু চিকিৎসক ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত নার্স ও বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য হাসপাতালটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমাদৃত। উন্নত চক্ষু চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের এ হাসাপাতাল যোগ করেছে অনন্য মাত্রা।
তারা বলেন, এবারের প্রশিক্ষণে চক্ষু রোগের ৮টি সাব-স্পেশালিটিতে সর্বমোট ৩১৫ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত নার্স ও বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ান অংশ গ্রহণ করে সরাসরি দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ পাবেন। ২৪ জন চক্ষু চিকিৎসককে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে যারা পরবর্তীতে বাংলাদেশে অন্যান্য পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন। বিশ্বের একমাত্র ফ্লাইং আই হসপিটালটি, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের আত্ম প্রকাশের তিন বছরের মধ্যে ১৯৮৫ সালে প্রথম বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সর্বশেষ এটি ২০০৯ সালে বাংলাদেশে এসেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।