Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ছিটমহলে এক স্কুলের ৫০ গজের মধ্যে আরেকটি স্থাপনের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 


তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত কোটভাজনী ছিটমহলের শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ গজের মধ্যে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আরেকটি বিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান। অভিযোগে বলা হয় ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই বিলুপ্ত ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের মূল ভ‚খÐের সাথে যুক্ত হয়। এরপর সরকার বিলুপ্ত ছিটমহলের উন্নয়নের বিশেষ বরাদ্দ ঘোষণা করে। এমনকি ছিটমহলগুলোতে শিক্ষার উন্নয়নের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা গড়ে উঠে।
২০১৫ সালেই জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত কোটভাজনী ছিটমহলে স্থাপিত হয় শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই বিলুপ্ত ছিটমহলের শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাছেই নিজেদের পরিচয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়। এরই মধ্যে বিদ্যালয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন পায়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠদানের অনুমতি ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্ভূক্ত হয়। সম্প্রতি ওই এলাকার স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে ওই বিদ্যালয়ের ৫০ গজের মধ্যেই হাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় নামে আরেকটি বিদ্যালয় স্থাপন করে। একটি বিদ্যালয়ে ৫০ গজের মধ্যেই আরেকটি বিদ্যালয় স্থাপন করায় স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও নতুন স্থাপিত হাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়টি এখনো পাঠদানের অনুমতি পায়নি। এ বিষয়ে সচিব বরাবর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল আলীম খান ওয়ারেশী গত ১৫ নভেম্বর শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শুনানি গ্রহণ করেন। শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার জন্য নতুন করে আরেকটি বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। এমনকি তারা আমাদের বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বাধা দিচ্ছে। শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইয়ুব আলী জানান, একটি বিদ্যালয়ের ৫০ গজের মধ্যে অন্য কোনো বিদ্যালয় স্থাপন অযৌক্তিক।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফিরুজুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি অভিযোগ করেছেন শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়। তদন্তের পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ