বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে একজন ও আহত হয়েছে ৭ জন। নিহত ব্যক্তির নাম গহের মন্ডল (৩০)। তিনি ঢালারচর ইউনিয়নের খয়েরবাগান গ্রামের পাশান মন্ডলের ছেলে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢালারচর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএম তাজুল হুদা জানান, আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বেশ কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কোরবান আলী সরদার গ্রুপ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী নাসির উদ্দিন ব্যাপারী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনা চলছিল। দুই গ্রুপের মধ্যে আরও একাধিকবার হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে মিরপুর গ্রামে কোরবান আলী সরদারের কর্মীরা নৌকায় ভোট চাইতে গেলে সেখানে প্রতিপক্ষ নাসির এর লোকজন বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে চলে গোলাগুলি। এ সময় গহের মন্ডল নামের একজন গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় ৭ জন। তাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন আমির হামজা(২২), সাহেব আলী মৃধা (৭০), আলম মন্ডল(২৮), মালেক ব্যাপারী (৩৬), রশিদ ব্যাপারী (৪২), খলিল মন্ডল (৪০), সোহরাব প্রামাণিক(২২)। তারা সবাই ঢালারচর ইউনিয়নের রামনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আ’লীগ মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী কোরবান সর্দার জানান, তিনি আ’লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় তার প্রতিপক্ষ নাসির ব্যাপারী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নাসির নৌকাকে পরাজিত করার জন্য শুরু থেকেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এলাকায় নিয়ে এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ঢালারচরের ত্রাস জুলহাস বাহিনীকে দিয়ে নাসির ব্যাপারী স্থানীয় জনসাধারণকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় তার কর্মীদের উপর প্রায়ই নাসিরের ক্যাডাররা হামলা করছে বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে নাসির ব্যাপারী বলেন, জুলহাস সন্ত্রাসী নন তার নির্বাচনী একজন কর্মী। তার কোন লোকজন হামলার সাথে জড়িত নন বলে তিনি দাবি করেন।
পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) জাকির হোসাইন একজন নিহতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে শনিবার রাতেই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কি নিয়ে, কিভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।