Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষীপুরে শিশু শ্রমিককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

লক্ষীপুর জেলা সংবাদদাতাঃ লক্ষীপুরে মিথ্যা অসামাজিক কাজের অভিযোগ এনে সোহেল (৯) নামের এক শিশু শ্রমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। সদর উপজেলা মান্দারী গ্রামের আমির পাটোয়ারী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা এ অমানসিক নির্যাতন চালায় ওই বাড়ির কালূ পাটোয়ারীসহ অন্যান্যরা। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বিকালে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নির্যাতিত শিশু সোহেল একই উপজেলা শান্তিরহাট কুশাখালি গ্রামের শহিদুল হোসেনের ছেলে ও মান্দারী কমার্শিয়াল মার্কেটের বাবুল ভ্যারাইটিজ ষ্টোরের দোকান কর্মচারী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দোকানের মালিক বাবুল বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
দোকান মালিক বাবুল জানান, প্রায় ৫ মাস আগে সোহেল তার দোকানে কাজ নেয়। সকাল ১০ টার দিকে তার খাবার আনার জন্য শিশু সোহেলকে পশ্চিম মান্দারী গ্রামের আমির পাটোয়ারী বাড়ীতে পাঠালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে পথিমধ্যে সে সুপারি বাগানে যায়। সেখান থেকে সোহেলকে স্থানীয় কালু পাটোয়ারী ধরে নিয়ে যায়।
গরুর সঙ্গে অসামাজিক কাজ করার অভিযোগ এনে সোহেলকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠিপেটা,বেঁধে কিল-ঘুষি, লাথি এবং ঝাড়ু দিয়ে মারধর করে। শিশুটির শোর-চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন তার মা-বাবাকে জানায় এবং তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এ সময় কালু পাটোয়ারী তাকে ছেড়ে না দিয়ে উল্টো ৬০ হাজার টাকা দাবী করে। দাবীকৃ টাকা না দেয়ায় টানা ৬ ঘন্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম খবর পেয়ে পরিষদের মেম্বার ইসমাইল, গ্রাম পুলিশ বেলাল সহ কয়েকজনের পাঠিয়ে বিকালে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম জানান, শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার খবর পেয়ে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ