Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

একটি সেতুর অভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত ৭০ গ্রামের দু’লক্ষাধিক মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁর বৃহত্তম মান্দা উপজেলার সদরের আত্রাই নদীর প্রসাদপুর খেয়াঘাট নামক স্থানে একটি সেতুর অভাবে ৫টি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের অভাবে তাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। এটি নির্মাণ হলে বদলে যেতে পারে মান্দার উন্নয়নের সার্বিক চিত্র।
নওগাঁর বৃহত্তম মান্দা উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এখানে একটিমাত্র উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন গঠিত। প্রায় ৩০-৩৫টি ছোট-বড় হাট-বাজার থাকার কারণে সবচেয়ে বেশী রাজস্ব আয় হয় এ উপজেলা থেকে। তাছাড়া হাসপাতাল সহ সব অফিস আদালত,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আত্রাই নদীর দক্ষিণে অবস্থিত। ফলে উত্তর পাড়ের লোকজন নানা রকম উন্নয়ন থেকে আজও বঞ্চিতই রয়ে গেছেন। প্রতিদিন নানা দরকারে উক্ত খেয়াঘাট পার হতে হয় এখানকার অবহেলিত বাসিন্দাদেরকে। স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও এই সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় জনগণের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর সরকার বদল হয়, কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয় না কখনো।
তবে এলাকার মানুষের অভিযোগ, ১৯৯৫ সালে ঘাট ইজারা নেন মুনছুর রহমান মৃধা। কিন্তু ১৯৯৫ সালেই বুড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও চকখোপা গ্রামের সাইফুল ইসলামের যোগসাজসে ও তৎকালিন সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা নাছির উদ্দিন জিহাদীকে ভুল বুঝিয়ে প্রসাদপুর গ্রামের পাটনী হরিকৃষ্ণ ও তার ভাই শ্রীকৃষ্ণকে বাদ দিয়ে উল্টো রামনাথ চৌধুরীকে নাম মাত্র ৬ হাজার টাকায় ইজারা ডাকের মাধ্যমে পাটনারশীপ দিতে সহযোগিতা করেন। যা একটি বিশাল ষড়যন্ত্র ছিল। এ খেয়াঘাটে প্রতি বছরে শতকরা মাত্র ১০ ভাগ ইজারা মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। মূলতঃ বর্তমান পাটনীশীপ পাওয়া এ তিন ভাই-ই লাখ লাখ টাকার টোল আদায়ের জন্য এখানে সেতু নির্মাণের প্রধান বাঁধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ খেয়াঘাটের পাটনী রামনাথ চৌধুরী ও তার ভাইয়েরা মিলে ২০০৩ সাল থেকে বাণ্যিজিকভাবে বাঁশের সেতু নির্মাণ করে আসছেন। মূলতঃ তখন থেকেই এখানে সেতু নির্মানের জন্য নতুন করে আবার দাবি উত্থাপন করা হয়। এখানে সেতুটি নির্মাণের জন্য বর্তমানে প্রায় ৭০ গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ হলে সাতবাড়িয়া মোড় থেকে দেলুয়াবাড়ীহাট পর্যন্ত নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বাইপাস সড়ক হিসাবে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ কমে যাবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুর রশিদ জানান, আমি শুনে আসছি বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মহোদয় সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রায় ২৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প এনে তা একনেকে পাশের জন্য বারবার সংসদে দাবি উত্থাপন করেছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও তা পাশ না করানোই বাস্তবায়ন হতে দেরি হচ্ছে। তবে আদৌ তা কবে আলোর মুখ দেখবে তা সরকার দলীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ