রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদা পোশাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : আমার স্বামী একজন মুদি দোকানদার। তাকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। অথচ যে পুলিশরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারাই বলছে এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। তাহলে, আমার স্বামী কোথায় আছেন, কার কাছে আছেন, আমি জানতে চাই। এমনই আকুতি জানিয়ে গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের গৃহবধূ সেলিনা খাতুন। তিনি বলেন আমার স্বামী আব্বাস আলি আইনের দৃষ্টিতে কোনো অপরাধ করে থাকলে তার বিচার হোক। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন তা আমাকে বলতে হবে। সেলিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী একজন মুদি দোকানি। তিনি কোনো রাজনীতি করেন না। তার নামে কোনো মামলাও নেই। তিনি বাড়ির সাথে লাগোয়া মুদি দোকানে থাকেন সারাদিন। তার কোনো দোষ নেই। তাকে ফিরিয়ে দিন। সেলিনা খাতুন বলেন, ১৩ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় সাদা পোশাকধারী পাঁচজন পুলিশ তার দোকানের সামনে এসে জানতে চায় সিগারেট আছে কি-না। জবাব দিতে না দিতেই তার দুই বাহু ধরে রাখে পুলিশ। পরে হ্যান্ডকাপ পরায়। এ অবস্থায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে চলে যায় পুলিশ। তাদের কাছে ওয়ারলেস সেটও ছিল বলে জানান তিনি। সেলিনা জানান, তিনি ও তার ভাই সাতক্ষীরা সদর থানা ও ডিবি পুলিশে খোঁজ নিয়েছেন। তারা বলেছেন, আব্বাস নামের কাউকে আমরা গ্রেফতার করিনি। এরপর সাতক্ষীরা থানায় একটি জিডি করেছি। জিডি নম্বর ৯৪৪। ছোট্ট শিশুকন্যাকে সাথে নিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সেলিনা বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তাকে আইনে সোপর্দ করে বিচারের আওতায় আনা হোক। কিন্তু স্বামীর হদিস জানতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সেলিনার ভাই মো. জাহাঙ্গির ও দেবর বাবু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।