প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। এন্টিবায়োটিক কিনতে হলে ফুল কোর্সই কিনতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। প্রাণীদের শরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টন্স হয়ে গেলে তা দ্বারা মানুষও আক্রান্ত হয়। এজন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এন্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাশপাশি এবং এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ-২০১৭ উৎযাপন উপলক্ষ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি মো.শফিউজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মো. ফয়েজ, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রন) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিন, প্রাণী সম্পাদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. পবিত্র কুমার সাহা প্রমুখ। সেমিনারে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের ভয়াবহতা নিয়ে দুটি প্রামান্য চিত্র উপস্থাপণ করনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সায়েদুর রহমান এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সালহউদ্দিন।
সেমিনারে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে কি পরিমান এন্টিবায়োটিক বাৎসরিক প্রয়োজন তার পরিসংখ্যান করার গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, প্রযোজন অনুপাতে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন করতে হবে। এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে এর ডোজ অনুযায়ী প্যাকেট করতে হবে। প্রতিটি ফার্মেসীতে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টার চালু করতে হবে এবং সেটি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা-এ বিষয়টি মনিটরিং করতে হবে। ভেটেরিনারী প্রিমিক্স এ এন্টিবায়োটিক মেশানো যাবে না- এ ব্যাপারে রেগুলেশন জোরদার করতে হবে। উপরোক্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়নে ওষুধ প্রশাসনকে জোরদার ভুমিকা রাখার আহবান জানান বক্তারা।