Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পূরণে দুর্নীতির অভিযোগ অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ

এসএসসির পরীক্ষার ফরম

| প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা : কুমিল্লার দাউদকান্দি, হোমনা, তিতাস ও মেঘনা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে যে যার মতো করে ফি আদায় করছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সংশ্লিষ্ট স্কুলের কতিপয় শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্য নিজেদের পকেট ভারি করছে। স্কুলের উন্নয়ন ফি, কেন্দ্র ফি, কোচিং ফি, সাপ্তাহিক পরীক্ষার ফি, ব্যবস্থাপনা ফি, আপ্যায়নসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে প্রতিটি স্কুলেই ফ্রি স্টাইলে বেশী টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ থাকলেও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্কুলগুলোর ’অবৈধ আবদার’ মেটাচ্ছেন তারা।
আগামী ফেব্রæয়ারীতে এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এখন তার ফরম পূরণের কাজ চলছে। এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ অন্যান্য উপরোক্ত উপজেলার স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দ্বিগুন কোথাও তিনগুন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোর্ড ফি নিয়ে ফরম পুরণে মাননীয় হাই কোর্ট একটি নির্দেশনা দিলেও উপজেলার স্কুলগুলোর উপর বোর্ডের কোন নির্দেশনা ও তদারকি না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফি দিয়েই বাধ্য হয়ে ফরম পুরণ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৪শ’ ৪৫ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় ১ হাজার ৩শ’ ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ শিক্ষা বোর্ডের নিয়মকে তোয়ক্কা না করে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। বোর্ড ফি’র বাইরে সেশন চার্জ ও টিউশন ফি হিসেবে তিন মাসের টাকা নিচ্ছেন। বোর্ড কতৃপক্ষ বলছে, এসএসসি পরীক্ষারর্থীরা দশম শ্রেনীতে একবার সেশন চার্জ দিয়েছে। যেহেতু নতুন বছরে তারা ক্লাস করছে না, তাই তাদের কাছ থেকে সেশন চার্জ নেয়া যাবে না।
অভিভাবকদের অভিযোগ সনদ, নম্বর ফর্দ ও ব্যবহারিক ফি এখন আদায় করলেও পরীক্ষার সময় আবার ব্যবহারিক ফি দিতে হয় তাদের সন্তানদের। তা ছাড়াও পাশ করার পর নম্বর ফর্দ ও সনদ পত্রের জন্য আবারও বাড়তি টাকা গুনতে হয় তাদের। এটা রুটিনে পরিনত হয়েছে। এর পরও বিভিন্ন স্কুল টেস্ট পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনুত্তীর্ণ করে প্রতি বিষয়ের জন্য আরও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশী অতিরিক্ত ফি আদায় দুর্নীতি হচ্ছে। এখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাথে প্রধান শিক্ষকসহ অতিরিক্ত ফি আদায় দুর্নীতিতে জড়িতদের চরম মতবিরোধ চলছে। কুমিল্লা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ শহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেছেন, বোর্ডের নির্ধারিত ফি’র বেশী নিলে-এমন অভিযোগ যদি আমরা পাই তাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। দাউদকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন, ফি আদায়ের বিষয়ে স্কুলগুলো আমাদের কিছুই জানাচ্ছে না, তবে বিষয়টি আমারা খতিয়ে দেখব। গৌরীপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ বলেন, স্কুলের ফান্ডের জন্য কিছু অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ