Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রোপা আমন কাটা

| প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রোপা আমন ধান কাটা। কৃষকের পদভারে মুখরিত জেলার পথ-প্রান্তর, মাঠ-ঘাট। যে দিকেই তাকাই, কৃষক-কৃষাণীরা সোনালি ধান কাটছেন, টানছেন, মাড়াই করছেন, আবার কেউবা ঝাড়ছেন। সবমিলিয়ে এখন কোনো কৃষকের দম ফেলার সময় নেই। বাংলাদেশের মানচিত্রে সবচেয়ে উষ্ণ ও কম বৃষ্টিপাতের অঞ্চল নাটোর। এই অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র ভরসা বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধান। আর এই বছরের শুরু থেকে আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকরা অধিক হারে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। এ বছর ধানের বাম্পার ফলনের আশা করলেও শেষ সময়ের দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় তা প্রায় মাটিতেই মিশে গেছে। তবুও আশায় বেঁধেছেন বুক।
নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঠজুড়ে কৃষকের রক্তঝরা সোনালি রোপা আমন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। ভোর থেকে শুরু করে অর্ধেক রাত পর্যন্ত চলে এই ঐতিহ্যবাহী ধান কাটার কাজ। কৃষকরা মনের সুখে ভাটিয়ালি, জারি ও বারসিয়া গান গেয়ে ধান কাটেন। সারা দিন রোদে পুড়ে ধান কাটেন আর রাতভর সেই ধান মাড়াই করে গৃহস্থের গোলা ভর্তি করেন। এই ধান কাটাকে ঘিরে প্রতিটি গৃহস্থের বাড়িতে বিরাজ করছে ব্যস্ততম পরিবেশ। প্রতিটি পরিবারের ছোট-বড় সবাই নতুন ধান তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গৃহিণীরা রান্না করছেন, কেউবা নতুন ধান শুকাচ্ছেন, কৃষকেরা মাঠ থেকে ধান বয়ে আনছেন আবার বাড়ির উঠানে সেই ধান মাড়াই করছেন এভাবে প্রতিটি পরিবারের মাঝে এখন যেন দম নেয়ার সময় নেই। আর মাঠজুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ যেদিকে তাকাই, শুধু সোনালি ধান আর ধান। যেন সবুজের মাঝে স্বর্ণের সমারোহ।
তাই আমিও বলতে চাই, লালপুরের বুকজুড়ে জন্ম নিয়েছে কৃষকের স্বপ্নের সেই সোনালি ধান, যার মাঝেই রয়েছে কৃষকের প্রাণ। মাঠের এপাশ-ওপাশ যে দিকেই তাকাই, দু’চোখ জুড়িয়ে যায়। কৃষকেরা মাথায় গামছা বেঁধে হাতে কাঁচি নিয়ে দলবেঁধে কাটছেন সোনালি ধান আর গাইছেন কৃষকের সেই ভাটিয়ালি, জারি ও বারসিয়া গান, শুনে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ