Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মন্ত্রিসভায় আবহাওয়া আইন চূড়ান্ত অনুমোদন, চিনি আইনের খসড়া স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ৬:৫৮ পিএম | আপডেট : ৭:০৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭

আবহাওয়া আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অন্যদিকে বাস্তবে কার্যকারিতা না থাকায় চিনি (রাস্তাঘাট উন্নয়ন উপকর) আইন-২০১৭ এর খসড়া স্থগিত করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি অনুমোদন না দিয়ে স্থগিত করায় কৃষকের ওপর থেকে করের বোঝা নেমে গেল। না হলে চিনিকল এলাকার রাস্তাঘাটের জন্য তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স নেওয়া হতো। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ২২ আগস্ট আবহাওয়া আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনো আইন আমাদের ছিল না। এটা নতুন ভাবে প্রণীত বহুল প্রত্যাশিত একটা আইন। পুরনো বিষয়গুলো নিয়ে নতুন আইনটি করা হয়েছে। এগুলো অলরেডি চলমান আছে। এ আইনের মাধ্যমে বিদ্যমান আবহাওয়া অধিদফতরকে একটি আইনি কাঠামো দেয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে ৩১টি ধারা রয়েছে। তিনি বলেন, অধিদফতর যেভাবে গঠন করা হয় এটি সে জাতীয় আইন। এখানে আবহাওয়ার সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া ঘটনা নামে একটি অংশ রয়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানী, ভূমিকম্প, সুনামি কাকে বলা হবে, সে সংজ্ঞা আইনে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী আবহাওয়া অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। এ ছাড়া আইনে অধিদফতরের কার্যাবলী, সেবা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিষয়ে বলা হয়েছে। মহাপরিচালকের নিয়োগ ও কাজের বিষয়ে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তবে আইনের ফলে অধিদপ্তর পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে না। আগের মতোই পরিচালিত হবে। অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন, আইন কার্যকর হলে আগের মতোই তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
চিনি আইন স্থগিত করেছে মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, চিনি (রাস্তাঘাট উপকর) আইনের খসড়াটি এর আগে মন্ত্রিসভায় এসেছিল, নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়। আজ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হলে আইনের বাস্তব কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এর কার্যকারিতা না থাকায় আইনটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। তিনি জানান, আইটি অনেক পুরনো। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান আমলের একটি অর্ডিনেন্স। আইনে বলা হয়েছে সুগারমিল এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য চিনিকল সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে উপকর নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে চিনিকল এলাকায় যেসব রাস্তাঘাট রয়েছে তার উন্নয়ন করছে স্থানীয় সরকার, পানিসম্পদ উন্নয়নসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। তাই পাকিস্তান আমলের এই আইনটি বর্তমানে কার্যকর না। তাছাড়া আইনটি অনুমোদন দেওয়া হলে চিনিকল সংশ্লিষ্ট কৃষকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপবে। কৃষকদের হয়রানির কথা চিন্তা করে আলোচনা পর্যালোচনা শেষে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রিসভা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ