Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ছেলে

| প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : বগুড়ার আদমদীঘিতে বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ও মাকে দগ্ধ করার দায় স্বীকার করছে পাষন্ড ছেলে ওয়াহেদুল ইসলাম। এঘটনায় নিহতের আরেক ছেলে শাহজাহান আলি বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে আদমদীঘি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সায়িদ মো. ওয়াহেদুজ্জামান মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ও মাকে দগ্ধ করার দায় স্বীকার করেন আসামী ওয়াহেদুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আগাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ আদমদীঘি উপজেলার কুশাবাড়ী গ্রামের ময়েজ উদ্দীনের মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুড় বাড়ীতে ঘড়জামাই থেকে দীর্ঘ যাবত বসবাস করে আসছেন। আব্দুল হামিদের ছেলে ওয়াহেদুল ইসলামে’র প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে একই এলাকার গজারিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে মর্জিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওয়াহেদুলের স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় চার মাস পূর্বে ওয়াহেদুল তার স্ত্রী মর্জিনাকে মৌখিক ভাবে তালাক প্রদান করেন। এর পর স্ত্রীকে পুনরায় সংসারে ফিরে নিতে কয়েক দফা বৈঠক বসে। কিন্তু ওয়াহেদুলেরর বাবা আব্দুল হামিদ ইসলাম তাতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে বাবা এবং ছেলের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সায়িদ মো. ওয়াহেদুজ্জামান জানান, হাফসা বিবি’র শরীরের আশি শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় সে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। তিনি জানান, ঘটনার পরদিন ছেলে ওয়াহেদুলকে আটক করে ব্যাপক জিঞ্জসাবাদ করার পর শনিবার সে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। রোববার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।



 

Show all comments
  • সুজন ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:১৭ এএম says : 0
    ওকে আগুনে পুরিয়ে মারা হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ