বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্ল্যাহ সাকলাইন ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ দুই ভাইয়ের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক যুদ্ধ। ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-৪ ভাংগা, সদরপুর, চরভদ্রাসন এই আসন থেকে একাধিক বার কাজী জাফরউল্যাহ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে গণজোয়ারে কাজী জাফরউল্যাহ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন নাই। এই আসসে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী মুজিবুর রহমান নিক্সন। ২০১৫ সালের জানুয়ারীর নির্বাচনে কাজী জাফরউল্ল্যাহ পরাজিত হওয়ার কারনগুলোর মধ্যে রয়েছে অহংকার, দলীয় লোকদের অবমূল্যায়ন, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ না রাখা, কিছু দুষ্টু লোকদের কথামত সিন্ধান্ত নেওয়া ইত্যাদি।কাজী জাফরউল্ল্যাহ যাদের গুরুত্ব দিতেন ওই সকল নেতাদের পাঁচটি ভোটও সংগ্রহ করার ক্ষমতা নেই। এই ধরণের বিভিন্ন কারণে কাজী জাফরউল্ল্যাহ জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় বললেই চলে। এই আসন থেকে অতীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কারণ একটাই বিএনপির কোনো যোগ্য প্রার্থী নেই। ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্ল্যাহ সাকলাইন গত ১লা নভেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে ঘোষণা দেন। তিনি এও বলেন কাজী জাফরউল্ল্যাহ যাদের নিয়ে চলাফেরা করছে তাদের জনগণ কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। ওই সকল নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দিপক মজুমদার অন্যতম। এই দিপক মজুমদারের কারণে গত নির্বাচনে দেশব্যাপী এত গণজোয়ার থাকা সত্বেও কাজী জাফরউল্যাহকে এলাকাবাসী ভোট দেয় নাই। তাই আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভাঙ্গা ৪ আসন থেকে আমি নির্বাচন করব। কাজী হেদায়েত উল্ল্যাহ এই ঘোষণা দেওয়ার পর গত শনিবার কাজী জাফরউল্ল্যাহ ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে ম্যানেজ করে ভাঙ্গায় একটি জনসভায় এনে ঘোষণা দেওয়ান ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন এবং ভাঙ্গ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়জুর রহমানকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অজুজাতে বহিস্কার করান। এ বিষয়ে কাজী হেদায়েত উল্ল্যাহ সাকলাইন বলেন, ফরিদপুর জেলা কমিটি চলছে দুই ব্যক্তিকে দিয়ে। এখন পর্যন্ত কোনো পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। সুতরাং আমার বহিস্কার আইনগত ভাবে হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।