Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোর-বেনাপোল সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি

বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যশোরে সংবাদ সম্মেলন

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও বেনাপোল কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবিনামা তুলে ধরে বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা। তিনি বলেন, ‹দেশের বেশির ভাগ শিল্প-কলকারখানা ও তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি করা হয় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। এই বন্দর দিয়ে বছরে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রফতানি হচ্ছে। বন্দর থেকে প্রতিবছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাত হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে সরকার। ইতিমধ্যে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অথচ এখন এই পথ যান চলাচলের পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়কের মাঝামাঝি অবস্থিত ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদের ওপরকার সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।›
তিনি বলেন, ‘দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর হলেও বেনাপোলে রয়েছে নানা সংকট। বন্দরে পণ্য রাখার জায়গায় তীব্র সংকট। ভারতের অংশে ৫-৭ হাজার গাড়ি ২০-২৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে পণ্য খালাসের জন্য। বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানোর যন্ত্র বিকল। ফলে বর্তমানে দিনে ৩-৪শ›য়ের বেশি গাড়ির পণ্য আনলোড করা যাচ্ছে না। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেনাপোল-পেট্রপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত ভারতের যশোর রোডের দুই ধারের শতবর্ষী পুরনো গাছ কেটে আমদানি-রফতানির সুবিধার্থে মহাসড়ক আট লেনে উন্নীত করছে ভারত সরকার। সেই আদলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুই পাশের শতবর্ষী গাছ কেটে সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে। বন্দরের গুদামে পণ্যের ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার মেট্রিক টনের। সেখানে পণ্য ওঠানো-নামানো হচ্ছে এক লাখ টনের মতো। আরো ২০টি নতুন গুদাম নির্মাণ না করলে বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের ল্যান্ডপোর্ট সাব কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান, সহসভাপতি মো. নুরুজ্জামান ও সাবেক সভাপতি শামসুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ