পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719993150](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার জন্য প্রস্তুত হয়েছে মঞ্চ। দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পেয়ে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। আজ সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হচ্ছেন। অনেকেই আবার গতকাল রাত থেকেই সমাবেশ স্থলে অবস্থান নিয়ে নির্ঘুম রাত পার করেছেন। এরই মাঝে মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করছেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কর্মীরা।
এখানেই আজ দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বেলা সোয়া তিনটার দিকে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ স্থলে আসবেন। তবে জনসভার মূল কার্যক্রম শুরু হবে দুপুর ২টা থেকেই।
এদিকে আজ সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, জনসভার জন্য নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের চারপাশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলছেন। মঞ্চের সামনের অংশে তিনটি ভাগ হয়ে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশ করছেন। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মৎস্য ভবন থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হয়ে শিশুপার্ক পর্যন্ত এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুনে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে।
সমাবেশ স্থলে উপস্থিত ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া জানান গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত তিনি সমাবেশ স্থলে ছিলেন। আবার আজ ভোরেই তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তার কথা শোনার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তিনি রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে যে নির্দেশনা দিবেন তা পালনের জন্য ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে হলেও কাজ করবে।
এদিকে আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন সঙ্কটের অভিযোগ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে ঢাকার আশপাশ থেকে যারা প্রতিদিন রাজধানীতে এসে অফিস করেন কিংবা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেন তারা আজকে যানবাহন সঙ্কটের কারণে বিপাকে পাড়েছেন বলে জানিয়েছেন। রাজধানীর উত্তরা থেকে পুরান ঢাকার কোর্টে আসা ওমর ফারুক নামে একজন জানান, তিনি উত্তরা থেকে পুরান ঢাকায় আসার জন্য সকাল ৮টায় বের হলে রাস্তায় কোন গাড়ি পাননি। পরে অতিরিক্ত ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিএনজি নিয়ে এসেছেন। একই অবস্থা রাজধানীর অন্যান্য প্রবেশপথগুলোরও। কুমিল্লা-নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার প্রবেশ পথ চিটাগাং রোড, গাজিপুর থেকে টঙ্গীতে, মানিকগঞ্জের প্রবেশ পথ গাবতলীতে কোন গণপরিবহন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। একই অভিযোগ করেছে বিএনপিও। দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার বলেন, সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছেন আর গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে বিএনপির সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন একদিকে যেমন গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বাসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মী দেখলেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীতেই নেতাকর্মী পেলে পুলিশ গ্রেফতার করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।