Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেপথ্যে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির ভাগ বাটোয়ারা

বগুড়ায় যুবলীগ কর্মী সাঈদ হত্যাকান্ড

| প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

টার্গেট ছিল বড় ভাই সামস সাদ

মহসিন রাজু, বগুড়া ব্যুরো : টান টান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত যুবলীগ কর্মী আবু সাইদ (৩০)-এর নামাজে জানাজা স্থানীয় জামিল মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সহ বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে গতকাল শনিবার বাদ আছর অনুষ্টিত এই জানাজার পরে নিহত সাঈদের লাশ দক্ষিণ বগুড়া ভাই পাগলা মাজার গোরস্থানে দাফন করা হয়। সাঈদের হত্যাকান্ডকে ঘিরে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশের প্রয়োজনীয় প্রস্ততি থাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে দিনটি শেষ হয়। নিহত সাঈদ বগুড়া শহর যুবলীগের ১২নং ওয়ার্ড কমিটির একজন সাধারণ কর্মী ও চকফরিদ কলোনীর ইছাহাক আলীর পুত্র। তবে তার বড় ভাই সামস সাদ একই ওয়াড যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং তার সাথে ওই এলাকায় চলাচলকারী ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক মালিক সমিতির নামে ওঠানো দৈনিক চাঁদার টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সমিতির অপরাপর সদস্যদের সাথে (যারা সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা) বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরেই সামস সাদকে না পেয়ে তারই ছোট ভাইকে খুন করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
নিহতের বড় ভাই সামস সাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘাতকরা ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিকদের কল্যানের কথা বলে মালিক সমিতির নামে দৈনিক বিপুল পরিমাণে চাঁদা বাবদ ওঠানো টাকার পুরোটাই মেরে খায়। অতি সম্প্রতি তারা ইজিবাইক প্রতি দৈনিক চাঁদার পরিমাণও দ্বিগুন করে। এসবের প্রতিবাদ করার কারণেই ঘাতকরা বৃহস্পতিবার বগুড়া সার্কিট হাউসের সামনে ইসমাইল নামে এক যুবলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর ভাবে আহত করে ওই ঘটনায় পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরদিন শুক্রবার আমার ছোট ভাই সাঈদকে খুন করা হলো। তবে খুনিদের টার্গেট ছিলাম আমি নিজে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই এরপর যেন ইজিবাইক সেক্টরের চাঁদাবাজী নিয়ে কেউ যেন মুখ না খোলে।
বগুড়া সদর থানার তদন্ত পরিদর্শক আসলাম আলী জানিয়েছেন , এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় (শনিবার বিকেল) থানায় মামলা হয়নি। তবে ঘাতক কারা এবং কি কারণে এই হত্যাকান্ড প্রাথমিকভাবে তা’ জানতে পেরেছে পুলিশ । শুক্রবার রাত থেকেই খুনিদের ধরতে অভিযানে আছে পুলিশ । এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া শহর ও শহরতলীতে বেআইনী ভাবে চলাচলকারী অন্তত ১৫ হাজার সবুজ সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ভ্যান এবং ইজিবাইক সেক্টর থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা তুলে একটি চক্র আত্মসাত করে থাকে। এই খাতের চাঁদায় ক্ষমতাসীন দলের ২০ / ২৫ ব্যক্তি এখন বগুড়া শহরের বিখ্যাত ধনপতিতে পরিণত হয়েছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি মহলে চলছে অস্থিরতা অসন্তোষ ও তীব্র ক্ষোভ। অনেকের ধারণা এই চাঁদাবাজীকে ঘিরে এই চাঁদাবাজীকে ঘিরে বগুড়ায় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ