Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা লজ্জাজনক -ড. মোশাররফ হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে দেশে ফিরতে না দিয়ে জোর করে, বিভিন্নভাবে শক্তি প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। এধরনের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক ছাড়া আর কিছুই নয়। গতকাল (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশরারফ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ছুটির পরে প্রধান বিচারপতি দেশে ফিরে আসবেন এবং তার আসনে তাকে আবার দেখতে পাবো। কিন্তু আজকে যা দেখতে পাচ্ছি তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। এধরনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। দেশের প্রধান বিচারপতির ওপরে যদি এই ধরনের আচরণ করা হয়, তাকে জোর করে অসুস্থ বানিয়ে ছুটি দেয়ার পর পদত্যাগ করানো হলো। তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক, ন্যাক্কারজনক কাজ আর কিছু হতে পারে না। আজকে দেশের সর্বাচ্চ বিচারালয়ে এ ধরনের নগ্ন হামলা- এটা কেউ গ্রহণ করতে পারে না, দেশের জনগণ এটা গ্রহণ করবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ভয় পেয়েছিল যে, প্রধান বিচারপতি যদি থাকেন তাহলে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে অবৈধ ঘোষণা করবেন। তাই আমরা শুনেছি কিভাবে তাকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি নাকি অসুস্থায় পদত্যাগ করেছেন। অথচ প্রধান বিচারপতি যখন বিদেশে যান নিজ মুখে গণমাধ্যমের সামনে বলে গেছেন তিনি অসুস্থ নন, সুস্থ আছেন আবার তিনি ফিরে আসবেন। আমরা তখন আশা করেছিলাম সুপ্রিম কোর্টে তার আসনে তাকে আবার দেখা যাবে। জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, আতাউর রহমান আঙ্গুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নব্য জেএমবিকে অর্থ দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ৩
স্টাফ রিপোর্টার : নব্য জেএমবিকে অর্থ সহায়তার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা ও বগুড়া জেলা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গুলশান-১ এর ১২৭ রোডের ১২ নং বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আবু তুরাব খান (৫৬), সাদিয়া হোসনা লাকী (৪৬) ও তাজরীন খানম শুভ (২৯)। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা অর্থ সহায়তা করে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি ইউসুফ আলী জানান, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকে নসাৎ করে দেয় পুলিশের ‘আগস্ট বাইট’ অভিযান। সে ঘটনায় পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে আত্মঘাতি হয়ে মারা যায় জঙ্গি সাইফুল ইসলাম। ঘটনার পরদিন ১৬ আগস্ট কলাবাগান থানায় একটি মামলা হয়। তিনি জানান, মামলার তদন্তে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ সরবরাহকারী আকরাম হোসেন খান নিলয়ের নাম উঠে আসে। নিলয় নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতা। তার পিতা আবু তুরাব খান, মা সাদিয়া হোসনা লাকী ও বোন তাজরীন খানম শুভ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা নিলয়ের মাধ্যমে নব্য জেএমবির বায়আত গ্রহণ করে। তারা বিভিন্ন সময় সংগঠনের কাজে অর্থ সরবরাহ এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সংগঠনে দিত। তারা জঙ্গি কার্যক্রমে অর্থ সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছে। নিলয় সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে শনিবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ