Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন আলু স্বাদে পানসে দামে চড়া

| প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : শাকসব্জীর সংকটের বাজারে উঁকি দিয়েছে বাঙালীর অত্যাবশ্যকীয় সব্জী নতুন গোলআলু। কিন্তু দামের কারণে মানুষ এর ধারা কাছেও যেতে পারছে না। এক কেজি গোলআলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। ধনী ক্রেতারা নতুন গোলআলু পেয়ে চড়া দামেই কিনে নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে। তবে নতুন গোলআলু ক্রেতারা জানিয়েছে, নতুন আলু হিসেবে কিনে নিলেও স্বাদে একেবারেই পানসে। সচেতন ক্রেতারা জানিয়েছে, প্রকৃত পক্ষে কোন আলুরই এখন স্বাদ নেই। নতুন আলো হচ্ছে অপরিপক্ক। আলু বিক্রেতারা জানিয়েছে, এবছর বাজারে আলু আমদানী হয়েছে দেরিতে। এর কারণ হচ্ছে গত বছর আলু উৎপাদন বেশী হওয়ায় কৃষকরা আলুর দাম পায়নি। অন্যান্য বছর আশ্বিন মাসের প্রথমভাগেই বাজারে নতুন গোলআলু আমদানী হতো। নতুন আমদানীকৃত গোলআলু প্রথম বিক্রি হতো ২শ’ টাকা কেজি দরে। পরে আস্তে আস্তে দাম কমতে কমতে ২০ টাকায় নেমে আসতো। পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০টাকা কেজি দরে। নিম্নমানের আলু ১৫ টাকা কেজি দরেও পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে নতুন আলুর দিকে সাধারণ মানুষের ঝোক কম। বেসরকারী হিসেব মতে দেশে গোলাআলুর চাহিদা রয়েছে কমবেশী ৬৯ থেকে ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু গত বছর দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৩ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এ ক্ষেত্রে আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩১ লাখ টনেরও বেশী। যা বর্তমানে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারী আড়ত ও খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে মজুদ রয়েছে। এসব আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নতুন আলু ব্যাপকভাবে বাজারে আমদানী হবে। তখন পুরনো আলুর চাহিদা কমে যাবে। লোকমাসের শিকার হবে আলু ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে আলু উৎপাদনও কমে যাবে। দাম না পেলে চাষীরা আলু চাষাবাদ করতে আগ্রহী হবে না। গ্রামাঞ্চলে খবরে নিয়ে জানা গেছে, এ বছর আলু চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ অনেক কম। প্রথমত আগাম আলু চাষাবাদ করে বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক চাষী। তারা নতুন করে আলু লাগায়নি। এব্যাপারে নরসিংদী কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এ বছর গোলআলু চাষাবাদ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। সবকিছু নির্ভর করে চাহিদার উপর। দেশে যেহেতু গোলআলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, সেহেতু কৃষকরা আলু চাষাবাদ করবে। যে বছর ঘাটতি উৎপাদনের আশংকা থাকে সে বছরও আলু উৎপাদন উদ্বৃত্ত হয়ে যায়। চাষীরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ