বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে মঠাবাড়িয়ার বড় মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী মারুফা আক্তারের। বড় মাছুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মেয়ের বাবা-মা ও পরিবারের অমতে নিজে অভিভাবক সেজে বিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের দিনমজুর পিতা রুহুল আমিন মৃধা জানান, তার মেয়ে মারুফা আক্তার বড়মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে চলতি জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে (যার রোল ৩০৫৪০৬, রেজি নং ১৭১৮৭৫০৭০৫)। প্রতিবেশী শাহজাহান হাওলাদারের বখাটে পুত্র ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক রাসেল দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সে রাজী না হওয়ায় রাসেল গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই মেয়ের বসত ঘরে ঢুকে পড়ে। রুহুল আমীন থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ বখাটে রাসেল এবং ওই মেয়েকে বুধবার ভোর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসায় মারুফা ওই দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
পরে থানা পুলিশ ছেলে ও মেয়েকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। গত বুধবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মেয়ের বাবার বিনা অনুমতিতে স্থানীয় বড়মাছুয়া বাজার জামে মসজিদের ঈমাম আবু সুফিয়ানকে ডেকে বখাটের সাথে ওই ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে ছেলের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ফলে বৃহষ্পতিবারও মারুফা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারেনি। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করলে সে দেইনি বলে রুহুল আমীন জানান। বড়মাছুয়া বাজার জামে মসজিদের ঈমাম আবু সুফিয়ান ছেলে মেয়ের জন্মসনদ ছাড়াই চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিয়ে পড়ানোর কথা স্বীকার করেন। এব্যাপারে বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন জানান, মেয়ের বাবা ওই মেয়েকে ঘরে তুলবেনা বলে জানালে মেয়ের অভিভাবক সেজে বিয়ে দেই বলে স্বীকার করেন। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম.তারিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিয়ে দেয়ার বিষয়টি তার জানা নাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।