Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে চসিক : মেয়র নাছির

সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিতরণ

| প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নগরীর সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিমাসে লক্ষাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পরে তিনি সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিতরণ করেন। পর্যায়ক্রমে নগরীর সুবিধাবঞ্চিত ৯ হাজার জনের মধ্যে এ কার্ড বিতরণ করা হবে। কার্ডধারীরা বেশ কয়েকটি চিকিৎসা সেবা পাবেন।
মেয়র নাছির বলেন, নগরীতে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বিভিন্ন এনজিও স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সমন্বয় দরকার। এতে নগরীর হতদরিদ্র ও বস্তিবাসী উপকৃত হবে। তিনি বলেন, নগরীতে বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্নভাবে যে এনজিওগুলো কাজ করছে তাদের সমন্বয় ও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। মেয়র বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে চসিক সুবিধাবঞ্চিতদের কিছুটা বেশি স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবে। অন্যদিকে কার্ডধারী পরিবার চসিকের হাসপাতাল, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারের পাশাপাশি ব্র্যাক ও সূর্যের হাসি ক্লিনিকে বছরে নির্দিষ্ট সেবা পাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক। বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম মুসা। প্রকল্পের মূল বিষয়ের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপনা করেন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কনসোর্টিয়াম ম্যানেজার ইমরানুল হক। অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারকে সই করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম মুসা।
সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২৭টি ওয়ার্ডে ৯ হাজার স্বাস্থ্যসেবা কার্ড দেয়া হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ কার্ডের মাধ্যমে একটি পরিবার বছরে ২ হাজার ৫শ’ টাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃত্বজনিত সেবার ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারিসহ ৩ হাজার টাকা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বছরে অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকার সিজারিয়ান সেবা পাবে। পরিবারের কোনো সদস্য দুর্ঘটনায় আহত হলে বছরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার সেবা পাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ