বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মাতারবাড়ি পর্যন্ত স্থল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জাপানের অর্থ সহায়তা ও উন্নয়নে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সে দেশের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি। একই সাথে তিনি উন্নয়ন বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্য খাতে বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপান বাংলাদেশের পাশে আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে। জাপানী রাষ্ট্রদূত গভীর সমুদ্রবন্দর ছাড়াও চট্টগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
জানা যায়, রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপান সরকারের অর্থ সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বড় প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিতে প্রস্তুত তার দেশ। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে জাপানি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত নগরীর ওয়্যার সিমেট্রিতে চিরশায়িত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মদানকারী জাপানি সৈন্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। সিটি মেয়রও শহীদদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মেয়র বলেন, জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্য খাত ও নানামুখী উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সমুন্নত করবে। তিনি বলেন, নগরীতে পানিবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্যা, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি লাইট সংযোজন, বিউটিফিকেশন, এলইডি বিলবোর্ড ব্যবস্থাপনা, পর্যটন শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প, পাওয়ার প্ল্যান্টসহ নানা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, জাপান জাইকার মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীতে অবকাঠামো ও যোগাযোগ খাতে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ার নানাদিক তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম অর্থনীতির হৃদপিÐ ও বাণিজ্যিক খাত। চট্টগ্রাম বিনিয়োগের উত্তম স্থান। সরকার মিরসরাই, আনোয়ারাসহ নানা জায়গায় বিশেষ অর্থনেতিক জোন গড়ে তুলেছে। এ সব জোনে জাপান বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। মেয়র চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চান।
বৈঠকে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্থপতি একেএম রেজাউল করিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম, চট্টগ্রামস্থ জাপানের অনারারি কনসাল নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।