পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে খালে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিন সহোদরসহ পাচঁজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক লোক। পুলিশ ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চারিগ্রামে সোলেমান ও পল্লব নামে দুব্যক্তির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চারিগ্রাম বাজারের কাছের একটি খালে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কয়েকশ লোক দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে টেটাবিদ্ধসহ বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাতে তিন সহোদরসহ পাঁচ জন নিহত হয়। মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আহমেদ পলি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন মিঠামইনের পশ্চিম হাটির সুলেমান গ্রুপের মো. আবদুল আজিজের তিন ছেলে ফেরদৌস মিয়া (৫৫), মাখন মিয়া (৪২) ও মাসুম মিয়া (৩৫) এবং টাগুরিয়া গ্রামের পল্লব গ্রুপের সুজন মিয়ার ছেলে রাজিব মিয়া (২৮) ও মুকুল মিয়া (৩০)। মিঠামইন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনাস্থল দুর্গম হাওরে হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে পাঁচজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চারিপাড়া গ্রামের সুলেমান এবং মারুফ গ্রুপের সঙ্গে একই এলাকার পল্লব গ্রুপ ও মাসুম গ্রুপের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে বেলা দেড়টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুইপক্ষের সঙ্গে যোগ দেয় শত শত মানুষ। এ সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বল্লম ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে চারজন মারা যান। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আরও একজন। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মিঠামইন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।