Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রফতানি আয়ের লক্ষ্য অর্জনে ব্যবসায়ীদের সব সুবিধা দেয়া হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

২০২১ সালে দেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্জনে ব্যবসায়ীদের গ্যাস, বিদ্যুত, প্রণোদনা ও বন্ড সুবিধাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল বাংলাদেশ ইন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট (বিইআই) আয়োজিত রপ্তানি বহুমুখিকরণ : চালেঞ্জ ও অগ্রধিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বিইআই‘র চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সিপিডি ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম ও ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিইআই‘র সভাপতি ও সিইও ফারুক সোবহান। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিইআই‘র প্রকল্প প্রধান (ট্রেড অ্যান্ড বিনিয়োগ) মোহাম্মাদ এ রাজ্জাক।
তোফায়েল আহমদে বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর সারা বিশ্বে বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার ঝড় বয়ে গেছে। কিন্তু সেটা আমারা সামলে উঠেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘ভিশন-২০২১’ সফল করতে সরকার দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে দেশের মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আসবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ আমারা আমাদের লক্ষ্য পৌছতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। বাংলাদেশ এখন প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করছে। এর প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন লাভজনক স্থান। সরকার আইন প্রণয়ন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও বাণিজ্য সহযোগিতা দিচ্ছে। বিশ্বের অনেক বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, যারা এক সময় বলতো-বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দরিদ্র দেশের মডেল, বাংলাদেশের উন্নয়ন হলে বিশ্বে আর কোনও দরিদ্র দেশ থাকবে না, আজ তারাই বলছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর করা হয়েছে।
ভারতের পোশাক খাতের বিভিন্ন সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটি পোশাক খাতে যে পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার ধারের কাছেও নেই বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ রপ্তানিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে এদেশের ব্যবসায়ীদের কঠর প্ররিশ্রমের কারণে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনাম কি ছিল। এখন কি হয়েছে। তারা বর্তমানে অনেক উন্নতি করেছে। দেশটি বিনিয়োগ টানার জন্য বিনা পয়সায় জমি দেয়াসহ নানা কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়। আর আমারা চাইলেও পারি না। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমাদের বেসরকারি খাত নিজেরাই চেষ্টা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ