Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৪ বছর পর মঞ্চে দেশ নাটকের নিত্যপুরাণ

বিনোদন ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রায় ১৪ বছর পর মঞ্চে আসছে দেশ নাটকের ১৫তম প্রযোজনা নিত্যপুরাণ। নাটকটি রচনা করেছেন মাসুম রেজা। নিত্যপুরাণ একটি নাট্যকার নির্দেশিত নাটক বা রাইটার ডিরেক্টেড প্লে। ২০০১ সালে নিত্যপুরাণ প্রথম মঞ্চায়িত হয় এবং দর্শক ও নাট্যবোদ্ধা মহলে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। দেশ ও দেশের বাইরে এ নাটকের পঞ্চাশটিরও বেশি মঞ্চায়ন হয়। ১০ ও ১১ নভেম্বর শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় নিত্যপুরাণ মঞ্চায়িত হবে। নিষাদরাজ হিরণ্যধনুর পুত্র একলব্যের কথা মহাভারতে প্রায় অনুল্লেখিত এবং ক্ষুদ্র একটি অংশ। নিম্নবর্ণের সন্তান একলব্য নিত্যপুরাণ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। পঞ্চপান্ডবের সঙ্গে অস্ত্রশিক্ষা লাভের জন্য শিক্ষাগুরু দ্রোণাচর্যের কাছে গেলে নিচু জাত বলে একলব্যকে শিষ্য হিসেবে বরণ করেননি। দ্রোণাচার্যের শিষ্য অর্জুন অর্থাৎ পঞ্চপান্ডব সর্যবনে ধনুর্বিদ্যায় একলব্যের কাছে পরাজিত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার শর্ত অনুসারে পঞ্চপান্ডব মৃত্যুর মুখোমুখী হয়। কিন্তু দ্রোণাচার্যের কুটিলতায় পঞ্চপান্ডবের জীবন বেঁচে যায়। নাট্যকার মাসুম রেজা মহাভারতের এই ক্ষুদ্র উপাখ্যানকে নাট্যরূপ দিয়ে মঞ্চে এনেছেন। এ প্রসঙ্গে নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা বলেন, মহাভারত পাঠকালে একলব্যকে আমার খুব কাছের মানুষ বলে মনে হয়েছে, মনে হয়েছে এ যেন আমি, এ যেন আমরা, সাধারণ মানুষ। একলব্যকে আমার দেখতে ইচ্ছে হয়েছে অন্যভাবে, পান্ডব কিংবা কৌরবদের চেয়েও কুশলী বীররূপে। মাসুম রেজা বলেন, নিত্যপুরাণ লিখতে গিয়ে যে বিষয়টির প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি তা হলো-এই নাটকটিকে আমি সময়-নিরপেক্ষ নাটক হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছি, অর্থাৎ আমি একই সাথে চেয়েছি মহাভারতের ভেতর থাকতে আবার এখনকার কথাও বলতে। নিত্যপুরাণে একলব্য চরিত্রে রূপদান করেছেন মামুন চৌধুরী রিপন, ব্যাসদেব চরিত্রে আসিফ হাসান, যুধিষ্ঠিরের চরিত্রে কামাল আহমেদ, ভীমসেন চরিত্রে ফিরোজ আলম, অর্জুনের চরিত্রে লরেন্স উজ্জ্বল গমেজ, নকুল চরিত্রে হোসাইন নিরব, সহদেবের চরিত্রে মাইনুল হাসান মাঈন, দ্রোণাচার্যের চরিত্রে সমাপন সরকার এবং দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করছেন বন্যা মির্জা। অন্যান্য চরিত্রে আছেন সুষ্মিতা সাহা, জলি চৌধুরী, তামিমা তিথি, মেঘলা মায়া, ইসমেত্ জেরিন, কাজী লায়লা বিলকিস, সানজিদা লতা, সালমান লিমন ও আবিদুর রহমান আদর। নাটকের সেট পরিকল্পনা করেছেন কামাল উদ্দিন কবির, পোশাক পরিকল্পনায় শাহনেওয়াজ কাকলী, সঙ্গীত পরিকল্পনায় নাসিরউদ্দিন শেখ, আবহ সংগীতে ইমামুর রশিদ খান ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন নাসিরুল হক খোকন। রূপসজ্জা পরিকল্পনা করেছেন শুভাশীষ দত্ত তন্ময় এবং কোরিওগ্রাফি পরিকল্পনায় মোঃ আমানুল্লাহ আমান ও হিমা রয় মিতু দায়িত্ব পালন করেছেন। নাটকে ব্যবহৃত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লরেন্স উজ্জ্বল গমেজ, অসীম কুমার নট্ট, ইমামুর রশিদ খান, নন্দিতা বিশ্বাস, আমরিন তাসনিম জাইমা ও জারিফা তাসনিম জেমিমা। এছাড়া, নিত্যপুরাণ নাটকের সহকারী নির্দেশকের দায়িত্ব পালন করেছেন অয়ন চৌধুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ