Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

খুনের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে শিশুর শ্লীলতাহানির দায়ে ৪০ বছর কারাদন্ড

| প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে শিশুর শ্লীলতাহানির দায়ে এক ব্যক্তিকে চল্লিশ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে খুনের দায়ে দুইজনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড। গতকাল (বুধবার) পৃথক দু’টি আদালতে এ সাজা দেয়া হয়। ৯ বছরের শিশুর শ্লীলতাহানির দায়ে আসামী মোঃ জসিম উদ্দিনকে দু’টি ধারায় ৪০ বছরের সাজা দেয়া হয়। চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোতাহির আলী এই রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এম এ নাসের বলেন, আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় যাবজ্জীবন এবং ১০ (১) ধারায় ১০ বছরের কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্ত আসামির সাজার মেয়াদ ৩০ বছর। সেই হিসেবে আসামির ৪০ বছরের কারাদÐ হয়েছে। তবে রায়ে দু’টি পৃথক ধারায় দেয়া সাজা একসঙ্গে কার্যকর হওয়ার কথা উল্লেখ থাকায় আসামিকে ৩০ বছর শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে জানান পিপি। দÐিত জসিম উদ্দিন লোহাগাড়া উপজেলার সিকদারপাড়ার আবুল কাশেমের পুত্র। ঘটনার পর গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার শিকার শিশুটি লোহাগাড়া উপজেলার একটি মাদরাসার ছাত্রী। তার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়নের বাইতুল ইজ্জত এলাকায়। তবে তার বাবা লোহাগাড়া উপজেলায় পোস্টাল অপারেটর পদে কর্মরত থাকায় পরিবার নিয়ে জসিমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিশুটি মাদরাসায় যাওয়ার সময় জসিম তাকে তুলে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। এরপর তার শ্লীলতাহানি করে। ২১ মে শিশুটির বাবা লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ জসিমকে গ্রেফতার করে।
এদিকে একটি হত্যা মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদÐের আদেশ দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিচারক (বিশেষ জজ) হোসনে আরা। দÐিত দুজন হলেন, এরশাদ ও মোছলেম উদ্দিন ওরফে বাবুইয়া। তারা দু’জনই পলাতক আছেন। জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১০ ডিসেম্বর নগরীর হাজীপাড়া ছুরিকাঘাতে খুন হন আবু তাহের। পূর্ব শত্রæতার জেরে এই খুনের ঘটনা উল্লেখ করে তার পিতা আবুল খায়ের চারজনকে আসামি করে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর দÐবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ ১১ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ