Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চসিক মেয়র আইনের দোহাই দিয়ে আইন লঙ্ঘন করছেন- মহিউদ্দিন চৌধুরী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মেয়র নগরবাসীর উপর অযৌক্তিক ও অসহনীয় গৃহকর চাপিয়ে দিয়েছেন অভিযোগ করে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, এক্ষেত্রে তিনি আইনের দোহাই দিয়ে নিজেই আইন লঙ্ঘন করছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মেয়র গৃহকর নির্ধারণের ক্ষেত্রে আইনী কাঠামোর দোহাই দিয়ে চলেছেন। অথচ তিনি অজ্ঞতাবশতঃ বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই সিটি কর্পোরেশন (টেক্সেসন) এ্যাক্ট-১৯৮৬ এর বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
নগরীর দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় সড়ক বাতি নেই, অধিকাংশ সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা দৃশ্যমান, তখন ময়লা নিষ্কাশন ও সড়ক বাতির রেইট নগরবাসীর উপর চাপিয়ে দেয়া জুলুমের সামিল। গৃহকর নিয়ে আপত্তি নিষ্পত্তির উদ্যোগকে আপিল নাটক হিসেবেও মন্তব্য করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, যারা অযৌক্তিক বর্ধিত গৃহকরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধে মেয়র হুমকী দিচ্ছেন। তিনি আক্রমনাত্মক হয়ে অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগ করছেন। এটা মেয়র পদের অবমাননা। তার মনে রাখা উচিত তিনি ট্যাক্স কালেক্টর নন, নগরবাসীর অভিভাবক। উন্নয়নের নামে লুটপাট ও করের বোঝা চাপানো দুর্বৃত্তসূলভ প্রবণতা।
মেয়র থাকাকালে ‘দি সিটি কর্পোরেশন (টেক্সেসন) রুলস-১৯৮৬’ এর আলোকেই প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জনগণের সাধ্য ও সামর্থ্যরে বিষয়টি বিবেচনা করেই গৃহকর নির্ধারণ করেছিলেন উল্লেখ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ কারণে অতীতে গৃহকর নিয়ে নাগরিকদের মাঝে কোন অসন্তোষ দেখা দেয়নি এবং তারা সহনীয় মাত্রায় ধার্যকৃত গৃহকর প্রদান করেও আসছিলেন। এই আইনে জনগণের সাধ্য ও সামর্থ্যরে বাইরে গৃহকর নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি। বরং আইনে বলা হয়েছে-ইমারত ও জমির বাৎসরিক মূল্যের উপর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ কর আরোপ করা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ