Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জালিয়াতির মামলায় আবারও গ্রেফতার গোলাম রব্বানী

বিশেষ সংবাদদাতা , বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি মামলায় গোলাম রব্বানীকে সিআইডি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজী বে-সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০১ সালে গঠিত হাই ফাউন্ডেশন নামক পরিচালনা পর্ষদে ৭ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা বোর্ড গঠিত হয়। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা হলে পরবর্তীতে ২০১৩ সালে উক্ত বে-সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ মোতাবেক ৫০ সদস্য বিশিষ্ট পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজী ট্রাস্ট গঠিত হয়। উক্ত কমিটির পক্ষ থেকে এম এইচ এম শাহজাহান তরুকে বাদী করে মহামান্য হাইকোর্টে ৩২৬৩/১৩ নম্বর রীট মামলা দাখিল হইলে মহামান্য হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার আদেশ বাতিল করিলে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম রংপুর রোড, গোকুল, বগুড়ায় শুরু করা হয়। আসামী গোলাম রব্বানী ট্রাস্টি বোর্ডের বিভিন্ন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে তাদেরকে ট্রাস্টি বোর্ড হতে অব্যহতি দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনকে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য দেখিয়ে একটি ভূয়া কমিটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর নিবন্ধন ২৫৯৩ তে দাখিল করে। এ ছাড়া আসামী গোলাম রব্বানী ২০০১ সালের ০৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে জালিয়াতীর আশ্রয় গ্রহন করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিজে প্রস্তুত করে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে দাখিল করে। এমনকি হাই ফাউন্ডেশনের ২০০১ সাল হতে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ভুয়া রেজুলেশন প্রস্তুত করে পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজী ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান এম এইচ এম শাহজাহান তরুসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষর জাল করে উক্ত রেজুলেশনসমূহ জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে দাখিল করে। পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজী ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এম এইচ এম শাহজাহান তরু উক্ত জালিয়াতী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে জিআর ১৩৬/১৭ (শের) নম্বর মামলা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত হতে মামলাটি শেরপুর, বগুড়া থানায় এফআইআর হিসাবে গণ্য করে বর্তমানে সিআইডি বগুড়া তদান্তাধীন আছে। আসামী মোঃ গোলাম রব্বানী বগুড়ার শেরপুর উপজেলাধীন শ্রীরামপুর পাড়ার হযরত আলী আকন্দের পুত্র।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ