পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসছে ২০১৮ সালে নতুন বছরে মোট ২২ দিন সরকারি ছুটি ভোগ করবে বাংলাদেশ, এর মধ্যে সাত দিনই শুক্র ও শনিবার। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৮ সালের এই ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি এবং ফোর্বস সাময়িকীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০তম শক্তিশালী নারী হিসেবে স্থান পাওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালের জন্য ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে ৮ দিন সরকারি ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। চলতি ২০১৭ সালে মোট ২২ দিন সরকারি ছুটি ছিল, যার ১০ দিনের ছুটি পড়েছিল সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। ২০১৬ সালেও ২২ দিন সরকারি ছুটি ছিল, যার চার দিনের ছুটি পড়েছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। শফিউল জানান, আগামী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ২৯ এপ্রিল বৌদ্ধ পূর্ণিমা, ১ মে দিবস, ১৫ জুন জুমাতুল বিদা, ১৬ জুন ঈদুল ফিতর, ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২২ অগাস্ট ঈদুল-আযহা, ২ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা, ২১ নভেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনের সাধারণ ছুটি থাকবে। এছাড়া সরকারের নির্বাহী আদেশে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২ মে শবে বরাত, ১২ জুন শবে কদর, ১৫ ও ১৭ জুন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ২১ ও ২৩ অগাস্ট ঈদুল আযহার আগে ও পরের দিন এবং ২১ সেপ্টেম্বর আশুরার ছুটি থাকবে। এবার ১৪ দিনের সাধারণ ছুটির মধ্যে চার দিন এবং নির্বাহী আদেশে আট দিনের মধ্যে তিন দিন শুক্র-শনিবার পড়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব নিয়ম ও বিধি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় বা সেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেসব অফিস নিজেদের নিয়মে জনস্বার্থ বিবেচনা করে ছুটি ঘোষণা করবে।
ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ওয়েজ আনার্স বোর্ড আইন ২০১৭ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম জানান, মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড আইন-২০১৭ নামে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু আলাপ-আলোচনার পর ওয়েজ আনার্স বোর্ড আইন ২০১৭ চূড়ান্ত করা হয়। তিনি বলেন, আগে এটি বিজি আকারে ছিল। এখন এটি আইন আকারে পাস হলো। শফিউল আলম বলেন, ১৬ সদস্য নিয়ে বোর্ড পরিচালিত হবে। এর প্রধান থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বোর্ডের যিনি মহাপরিচালক থাকবেন তিনি থাকবেন সদস্য সচিব। এছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির ডিজি, বায়রার সভাপতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন সদস্য, বিদেশ থেকে প্রত্যাগত দুইজন কর্মী (একজন নারীসহ) বোর্ডের সদস্য হবেন। সচিব বলেন, এই বোর্ড সুনির্দিষ্ট ১২টি কাজ করবে। বিদেশে কোনো প্রবাসী মারা গেলে তাকে দেশে আনার প্রক্রিয়া, দাফন কাফন সম্পন্ন করা, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, কোনো নারী ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে উদ্ধার করা ইত্যাদি। প্রতি দুই মাস পর পর বোর্ডের বৈঠক হবে। এছাড়া পটুয়াখালীর পায়রাবন্দে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সরকারের মালিকানাধীন রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ( নোরিনকো) মতো যৌথ উদ্যোগে কোম্পানি গঠনের লক্ষে এ সংক্রান্ত চুক্তি এবং সংবিধির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।