বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার : শিবপুরের চাঞ্চল্যকর আজিজা হত্যামামলার তদন্ত কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। সন্দিগ্ধ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে স্বীকারোক্তি আদায় করা হলেও এজাহারভূক্ত মূল আসামীদের স্বীকারোক্তি আদায়ে পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকায় লিপ্ত হয়েছে। আজিজাকে পুড়িয়ে মারার অব্যবহিত পর গ্রেফতারকৃত চাচাতো দাদী তমুজা বেগমকে ২ দিনের রিমান্ডে নিলেও রহস্যজনক কারণে তার নিকট থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়নি। তাকে ২ দিন থানায় রেখে বিনা জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে সোপর্দ করে দিয়েছে। একইভাবে র্যাব-৯’র জওয়ানরা সাড়া জাগানো প্রক্রিয়া হত্যামামলার মুল আসামী আজিজার চাচী বিউটি আক্তার ও তার মা সানোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করার পরও পুলিশ তাদের নিকট থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করছে না। মূল আসামীদের নিকট থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করতে না পারায় আজিজা হত্যামামলার বিচার তিরোহিত হয়ে পড়েছে। উপরন্তু সন্দিগ্ধ আসামী সুজন, রেজাউল ও রোমানকে গোপনে গ্রেফতার করে, গোপনে স্বীকারোক্তি আদায় করে তা সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ করে দেয়ায় মামলার তদন্ত ক্ষেত্রে বাদী পক্ষই এখন আসামী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্দিগ্ধ আসামীদের জবানবন্দীর উপর পুলিশের সাংবাদিক সম্মেলনের পর আসামী পক্ষের লোকেরা পুলিশের বক্তব্যকে হাইলাইট করে দ্বিতীয়বার সাংবাদিক সম্মেলন করে মামলার বাদী, পুড়িয়ে মারা আজিজার পিতা আব্দুস সাত্তারকে পাল্টা আসামী বানিয়ে দিয়েছে। আসামী বিউটি আক্তারের পিতা বাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগিরা মামলার বাদী আজিজার পিতা আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে। নিহত আজিজার পিতা আব্দুস সাত্তার জানিয়েছে, আসামীদের অপপ্রচারই প্রমান করে যে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার কন্যা আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আজিজার পিতা আব্দুস সাত্তার বলেছেন, আমি যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি তা স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতেই করেছি। কিন্তু পুলিশ কেন আমার এজাহারকে গুরুত্ব না দিয়ে সন্দিগ্ধ আসামীদের জবানবন্দীকে গুরুত্ব দিচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।