Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রংপুর সিটির নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে : সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা ২২ নভেম্বর, প্রত্যাহার ৩ ডিসেম্বর
আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয়বারের মতো এই সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা রংপুর সিটি নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২২ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২৫ ও ২৬ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৪ ডিসেম্বর। এ নির্বাচন আয়োজনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার। তার সঙ্গে থাকছেন ১১ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নূরুল হুদা বলেন, ইতোমধ্যে রংপুর সিটি নির্বাচন এলাকার যেসব সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী প্রচার করেছিলেন, যেমন বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, ইত্যাদি সেগুলো গত ২ নভেম্বরের রাত ১২টার মধ্যে সরানো নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সিইসি বলেন, আমরা চেষ্টা করব ইভিএম ব্যবহারের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করব। ইভিএম মেশিন পুরনোটা ব্যবহার হবে কি না এর জবাবে সিইসি বলেন, নতুন মেশিন ব্যবহার হবে। এর আগে ইভিএম ব্যবহারে কিছু ভুলও ধরা পড়েছিল, এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, এটা বিবেচনার রেখেই আমরা ইভিএম ব্যবহার করব। ভুল যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। নির্ভুলভাবে ও গ্রহণযোগ্যভাবে যেন ব্যবহার করা হয় সেটা লক্ষ্য রাখব। ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা থাকলে আমরা ইভিএম ব্যবহারের ঝুঁকি নেব না। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, এটা একটু ব্যয়বহুল। আমরা সীমিত আকারে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে চাই। প্রার্থীদের পোস্টারে রংপুর ছেয়ে গেছে। অনেক প্রার্থী তফসিল ঘোষণার আগেই আগাম ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন এমন খবরও আছে। সিইসি বলেন, এটা এখন সিদ্ধান্ত নেইনি। কমিশনের সঙ্গে বসতে হবে। কী অবস্থায় আছে এটা আমরা দেখব। কে পোস্টার লাগিয়েছে তাদের বের করার একটা বিষয় আছে। এটা কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা বুঝতে হবে প্রার্থী কিন্তু এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। আপনারা প্রশ্ন করেছেন, তফসিলের আগে খরচ করেছে। এখন এ টাকা খরচ প্রার্থী করেছে, না অন্য কেউ করছে এখনো তো আমরা বলতে পারব না। আর পোস্টার সরানোর বিষয়টা হলো- এতদিন সিটি করপোরেশন আইনে অধীনে ওগুলো সরাতে বলেছিলাম। এখন আমরা নির্বাচনী আইনের অধীনে এগুলো সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার যতটুকু জানা আছে অনলাইনে জমা দেয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশনে এমন কোনো প্রভিশন নেই। আমরা চেষ্টা করব আইন সংস্কারের জন্য। এটা ইমপ্রæভ করলে পরবর্তী সময়ে এটা বিবেচনা করতে পারব।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চের মধ্যে রংপুরে নির্বাচন করতে হবে। এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী এক লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটন্দ্রে ১৯৬টি, ভোটকক্ষ এক হাজার ১৭৭টি। পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না। নির্বাচনে জিতে সিটির প্রথম মেয়র হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি নির্বাচন

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ