পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যান্ত্রিক বিভাগের ৫ লাখ টাকার পোড়া মবিল বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্পোরেশনের কয়েকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। রাজধানীর ধলপুর ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর নির্দেশে গেট পাস ছাড়া এক ট্রাক পোড়া মবিল বের করে নেন বলে জানা গেছে। যার বাজার মূল্য অন্তত পাঁচ লাখ টাকা। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই প্রকৌশলীদের কেউ কেউ বেশ কিছুদিন নানা অজুহাতে অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন আবার কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন, কেউ ধরাছোঁয়ার বাইরে চলাচল করছেন।
ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাবের সুলতান বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যান্ত্রিক বিভাগের ধলপুর থেকে বেশ কিছু পোড়া মবিল ও তেল চুরির গঠনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে প্রধান নির্বহী কর্মকর্তার দফতর থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। যা এখন আমার দফতরে এসে পৌছেনি। চিঠি পেলে নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, এই মর্মে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর বাইরে আর কোন তথ্য জানাতে অপারগ বলে জানিয়েছন ওই সূত্রটি। তবে ধলপুর যান্ত্রিক বিভাগের কার্যালয় ও বিভিন্ন সূত্রে খোজ নিয়ে জানা যায়, ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার ধলপুর ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর নির্দেশে গেট পাস ছাড়া এক ট্রাক পোড়া মবিল বের করে নেন ওই এলাকার লুব্রিকেন্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নবী হোসেন। ওই ট্রাকে ৫০ ব্যারেল পোড়া মবিল ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- যার বাজার মূল্য অন্তত পাঁচ লাখ টাকা।
ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ মনজু বলেন, ওইদিন বিকালে যান্ত্রিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল হাসান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাব্বি স্যার আমাকে বলেছেন তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাবের সুলতান স্যারের নির্দেশ গেট পাস ছাড়া কিছু মবিল বের হবে। স্যারদের অধীনে চাকরি করি বলে আমি তাদের নির্দেশ পালন করেছি। এখানে আমার কোনো স্বার্থ নেই।
ধলপুরের ভ্রাম্যমাণ লুব্রিকেন্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নবী হোসেনের সঙ্গে পেশাগত পরিচয় গোপন রেখে কথা বললে ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগ থেকে পোড়া মবিল কেনার কথা স্বীকার করেন। তবে কত ব্যারেল কিনেছেন এবং কত টাকা দামে কিনেছেন, সেসব ব্যাপারে কিছুই বলতে রাজি হননি। পেশাগত পরিচয় জানালে এ ব্যাপারে কোনো সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান নবী হোসেন। ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হুদা বলেন, যান্ত্রিকে অনেক পোড়া মবিল ছিল, সেটা আছে না বিক্রি হয়েছে তা জানি না।
ডিএনসিসির আরেকটি সূত্র জানায়, পোড়া মবিলের সঙ্গে অনেক ভালো মবিলও বের করে নিয়েছে ‘চোর প্রকৌশলী সিন্ডিকেট’। আর যখন পোড়া মবিল বের করে নেয়, তখন বিদ্যুৎ ছিল না। এ কারণে ওই ট্রাক বের হওয়ার ভিডিও সিসি ক্যামেরা ধারণ করতে পারেনি। ওই সময় বিদ্যুৎ না থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন ডিএনসিসির যান্ত্রিকের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ মনজু। ডিএনসিসির ধলপুরের যান্ত্রিক বিভাগে গিয়ে জানা যায়, পোড়া মবিল বিক্রির খবর জানাজানি হওয়ার পর দিন থেকে অফিসে আসছেন না নির্বাহী প্রকৌলী মাকসুদ আলম। তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে। ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাবের সুলতান বলেন, তার (মাকসুদ আলম) শরীর খুব খারাপ। এজন্য মোবাইল বন্ধ রেখেছেন। আমরাও কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। অন্যদিকে সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ও মোহাম্মদ রাব্বিকে ওই সময় কয়েকদিন অফিসে পাওয়া যায়নি। অফিসের কাজের কথা বলে তারা বেশির ভাগ সময় অফিসের বাইরে থাকছেন।
ডিএনসিসির যান্ত্রিক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল হাসান মোবাইল ফোনে বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। পোড়া মবিল চুরির যুক্তি প্রমাণ তুলে ধরলে তিনি মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন। এরপর আর ফোন ধরেননি। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাব্বিকে একাধিকবার টেলিফোন করে ও ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাবের সুলতান বলেন, যান্ত্রিক বিভাগের কোনো মবিল বিক্রি করার জন্য কাউকে বলা হয়নি। এটা কেউ বিক্রি করেছে কিনা সেটাও আমি জানি না।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির যে কোনো সম্পদ বিক্রি করতে হলে কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন পেতে হবে। যান্ত্রিক বিভাগ থেকে অনুমোদন ছাড়া কেউ কিছু বিক্রি করলে সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি আরও বলেন, চুরি করে মবিল বিক্রির বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই, খোঁজখবর নিয়ে দেখব। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।