পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719820366](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকিদাতা ৪ দিন পরেও গ্রেফতার হয়নি : ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মোবাইল ফোন ও সাইবার ক্রাইম : ফেসবুক ইন্টারনেট ওয়েবসাইটে অশ্লীল ছবির ছড়াছড়ি : আইন কাজে আসেনি সাইবার অপরাধ দমন
উমর ফারুক আলহাদী : আঙুলের ছাপে সিম নিবন্ধনের পরেও থেমে নেই অপরাধী চক্র। প্রাণনাশের হুমকি, চাঁদাদাবি মাদক ব্যবসা, সুন্দরী মহিলাদের আপত্তিকর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে বেড়াছে এক শ্রেণীর মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। সেই সাথে দিন দিন বেড়েই চলেছে সাইবার ক্রাইম। ফেসবুক, ইন্টারনেট ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে নারী পুরুষের অশ্লীল ছবি। এসব নগ্ন ছবি ব্যবহার করে চলছে নানা প্রতারণা। অবাধে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী তরুণ-তরুণীরা ভয়াবহভাবে জড়িয়ে পড়ছে তথ্য-প্রযুক্তির এসব নোংরামীতে। এ ব্যাপারে কোন ধরনের মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। দেশে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে নেই কোন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। এ অভিযোগ সাধারণ মানুষের। তারা বলছেন, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবসায়ী কেউ রেহায় পাচ্ছেন না। প্রতিনিয়ত চলছে মোবাইল ফোনে হুমকি। কখনো চাঁদা দাবি করে, কখনো মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আবার কখনো আন্দোলন সংগ্রাম কিংবা প্রতিবাদ এবং মানববন্ধন না করতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। অপরাধী চক্রকে দ্রুত শনাক্ত করতে আঙুলের ছাপ ও ব্যক্তিগত তথ্যসহ বিভিন্ন মোবাইল সিম নিবন্ধনের পরেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপরাধ কমেনি। বরং তা দিন দিন বেড়েই চলে। হুমকি-ধমকি থেমে নেই। শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোনে চলছে নানা প্রতারণাও। জেলা প্রশাসক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ কেউ রেহায় পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ ব্যাপারে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের পরও ফোনে হুমকি দেয়ার ঘটনা বন্ধ না হওয়াতে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গত ছয়মাসে সহস্রাধিক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় কয়েক হাজার সাধারণ ডায়েরীও হয়েছে। সর্বশেষ হুমকি দেয়া হয়েছে কথাসাহিত্যিক এবং শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হককে। এর আগে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রফেসর আনু মুহাম্মদকে হুমকির দেয়ার পর ৪ দিন পরেও পুলিশ হুমকিদাতাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা তদন্ত করছি। এখনও শনাক্ত করা যায়নি। কোনও অগ্রগতি থাকলে আপনাদের জানানো হবে। সিমটি নিবন্ধিত কিনা? নিবন্ধিত হলে তিন দিন পরও কেন হুমকিদাতাকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও তদন্ত করছি। কোনও ধরনের অগ্রগতি থাকলে তা জানানো হবে।’
এ ব্যাপারে রামপুরা থানার এসআই এমদাদ হোসেন বলেন, আমরা এটা নিয়েই কাজ করছি। প্রচুর চাপে আছি। এখনও নম্বরটির প্রকৃত মালিক কে বা কোথায় থেকে পাঠানো হয়েছে তা জানা যায়নি।
রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী শাহান হক বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। হুমকি আসা নম্বরটির বিস্তারিত তথ্য বের করতে ডিবিতে পাঠানো হয়েছে। তারা নম্বরের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে। হুমকিদাতাকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি বিস্তারিত জানেন না বলে জানান রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এখন এ বিষয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি।
গত বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে আনু মুহাম্মদের মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এমনকি বৃহস্পতিবার রাতে জিডি করার সময়ও একই মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি পেয়েছেন তিনি। জিডি করা, ফেসবুক স্ট্যাটাস ও দ্বিতীয়বারের হুমকি প্রসঙ্গে আনু মুহাম্মদ বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘রামপুরা থানায় বসে জিডি করছিলাম। ওসি (তদন্ত) সাহেব সামনেই ছিলেন। এই সময়েই রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে একই নম্বর থেকে আরেকটি এসএমএস পেলাম।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের মোবাইল ফোনে যে নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) এসেছিল সে নম্বরের মালিককে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কে বা কারা এই ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না পুলিশ।
এরপর ওই একই নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হয় লেখক মঈনুল আহসান সাবেরকেও। দুটি ঘটনার কোনও তথ্যই পুলিশ এখনও উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
একই স্ট্যাটাসে আনু মুহাম্মদ লেখেন, ‘যারা আতঙ্ক তৈরি করতে চায়, মানুষকে নীরব ও নিষ্ক্রিয় করতে চায়, যারা যুক্তিতে হেরে শক্তির পথ ধরে, তারা নৈতিকভাবে পরাজিত, তাদের সঠিক জবাব, সবাই মিলে আরও সরব হওয়া, আরও সক্রিয় হওয়া।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতেও মোবাইল ফোনকেন্দ্রিক বিভিন্ন ঘটনার অভিযোগ আসছে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। কমিশন এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে কেউ রেহায় পাবে না। যারা হুমকি পেয়েছেন তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগ পেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তারানা হালিম জানান, সম্প্রতি মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় নিহত জঙ্গিদের পরিচয় জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ (এনআইডি) থেকে উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। ডাটাবেজে আঙুলের ছাপ সংরক্ষিত থাকায় এই অগ্রগতি। এছাড়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন থাকায় সম্প্রতি এ ধরনের কিছু জালিয়াতির ঘটনা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
বিটিআরসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বিটিআরসি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি এ ধরনের একাধিক ঘটনা কীভাবে হচ্ছে, কীভাবে ঘটছে সেসব নিয়ে কমিশন কাজ করছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি জালিয়াত চক্র অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে (মোবাইলের মাধ্যমে) মানুষকে হয়রানি করছে। আমাদের কাছে এরই মধ্যে অনেক অভিযোগ এসেছে। কমিশন সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।’ এই বিষয়টা নিয়ে প্রচুর চাপে আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়। কিছুদিন আগে আইজিপি প্রিজনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোনে লোকদের হয়রানি করা হচ্ছে। কখনো প্রলোভন দেখানো হয়, লটারীর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার কথা বলে, আবার কখনো একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে বলা হয় টাকা পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন মোবাইল সিম কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে বলা হয় আমি ওই কোম্পানীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, লটারীর মাধ্যমে আপনার সিম নম্বারটি ১০ লাখ, বা ২০ লাখ টাকা জয়লাভ করেছে। এখন টাকাটা পাঠানোর জন্য কিছু প্রাথমিক খরচপাতি পাঠাতে হবে। অনেক নিরীহ ও সরল সহজ মানুষ এদের ফাঁদে পা দিয়ে প্রায়ই প্রতারিত হচ্ছেন। এমন অভিযোগ পেলেও পুলিশ বা সংশ্লিষ্টরা কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এ অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এভাবে প্রতিনিয়ত চলছে মোবাইল ফোনে প্রতারণা। এ ব্যাপারে থানায় বিভিন্ন সময় জিডি হয়, কিন্তু ধরা পড়েনি অপরাধীরা। শুধু তাই নয়, এখন ইন্টারনেট আর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজধানীতে মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধী চক্র। ওয়েবসাইট খুলে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতারণামূলক কার্যক্রম। মাদক বিক্রি ও প্রতারণারও একাধিক অভিযোগ রয়েছে চক্রটির বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেহ ব্যবসা চালাতে ইন্টারনেটে খোলা হয়েছে একাধিক ওয়েবসাইট। সেখানে দেহ পসারিনীদের নগ্ন ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য ও ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে। এসব ওয়েবসাইটের ব্যাপক প্রচারণার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাঙালি মেয়েদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। তবে দেহব্যবসা ছাড়াও এই চক্রটি ইয়াবা, মদ, গাঁজা, হেরোইনসহ বিভিন্ন নেশা সামগ্রীও সরবরাহ করে থাকে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। হাতের নাগালে থাকলেও এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। মাদক, বিশেষ করে ইয়াবার টাকা সংগ্রহ করতেই সমাজের অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরাও এতে জড়িয়ে পড়ছে। সাময়িক আনন্দলাভের জন্য উশৃঙ্খল কিছু মেয়েও এ চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও, সেবা দেয়ার নামে প্রতারণা বাণিজ্যও চালিয়ে যাচ্ছে এসব ওয়েবসাইট নির্মাণকারী কুচক্রী মহল। সমাজের শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত মেয়েরাও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইন্টারনেটের বহুল ব্যবহারের সুবিধা নিতে একাধিক ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে রেখেছে দেহব্যবসায়ী চক্রটি। এসব ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ যৌন-উদ্দীপক ভিডিও ক্লিপসও ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। এসব ভিডিওগুলো (এস্কর্ট-১, এস্কর্ট -২, এস্কর্ট-৩, এইচডি এমন) সিরিয়ালে ১০ থেকে ১২ পর্যন্ত দেয়া রয়েছে। তবে এস্কর্ট শব্দের আর্থিক প্রতিশব্দ ‘সহচর’ বা ‘সশস্ত্র সঙ্গী’ হলেও এসব সহচর হচ্ছে মূলত দেহব্যবসায়ী। তবে ‘সহচর’ দেয়ার নাম করে চলছে ব্যাপক প্রতারণা। এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু লজ্জায় কেউ মুখও খুলতে পারছেন না। জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় “মেঘলা গ্রুপ” নামে একটি চক্র দেহ ব্যবসা, মাদক বিক্রি, প্রতারণাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোবাইল ফোনেই চলছে তাদের কার্যক্রম। এছাড়াও, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় “দুই জেনারেশন গার্লস্” নামে একটি দেহ ব্যবসায়ীদের সংগঠনও চালিয়ে যাচ্ছে গণপ্রতারণা। ফার্মগেটের অল্প-শিক্ষিত এই শ্রেণীর দেহপসারিনীদেরও কার্যক্রম চলছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই।
অনুসন্ধানে আরো দেখা গেছে, যেসব ওয়েবলিংকের মাধ্যমে এই অপরাধী চক্র অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কোন উদ্যোগও নেই। এসব ওয়েবসাইটে যোগাযোগের বিভিন্ন ফোন নম্বর, নগ্ন নারীর ছবি এবং নগ্ন ভিডিওসহ প্রতিজনের সময় হিসেবে দর-দামও উল্লেখ রয়েছে। এসব ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। রাজধানীর মিরপুরে পাঁচ থেকে সাতজন মেয়ের একটি গ্রুপ মেঘলার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এই সংঘবদ্ধ গ্রুপটি প্রতারণা, অর্থ-আত্মসাৎ ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা ‘মালদার পার্টি’ দেখে ফোনে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা চালিয়ে যায়। সম্পর্ক গভীর হলে শারীরিক সম্পর্কসহ অন্যান্য প্রলোভন দিয়ে ও বাসায় নিয়ে আটকে রাখাসহ বিভিন্নভাবে তাদের ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় করছে। তাদের নেপথ্যে একটি শক্তিধর হাত জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এন্টিসাইবার ক্রাইম টিমের সদস্য বলেন, আগে বিষয়টি অনেক সীমিত পরিসরে ছিল। এখন তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সাইবার ক্রাইম বিশ্বব্যাপী একটি বিষয়। অনেক সময় দেখা যায় যে, দেশের বাইরে বা আমেরিকায় বসে আমাদের দেশের ছবি বা ভিডিও তারা আপলোড করছে। সেক্ষেত্রে কিছু করার নেই। তবে আমাদের সাইবার ক্রাইম টিম কাজ করছে। এ ধরনের আরো বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। আমরা খুঁজে খুঁজে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।