বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আগামীতে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিতে যাচ্ছে। এই শুভ সংবাদ আমাদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। এত রাজনৈতিক অশান্তিতে থেকেও আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধির ধারাকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি, এটা অবাক করার মতো। বিগত কয়েকটি বছর দেশে রাজনৈতিক নেতিবাচক অশান্তি আমাদের সমাজ, রাষ্ট্রকে বেশ সমস্যায় রেখেছে। তারপরও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ধারা বেশ চমৎকার। ২০১৬ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৬.৮ শতাংশ। ভারতের প্রবৃদ্ধি থাকবে ৭.৫ শতাংশ। আর সূচকের সর্ব উপরে থাকবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ইরাকের ৭.৬ শতাংশ। এইটিও বেশ অবাক করার মতো। ইরাক আজ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। এখনও দেশে রাজনৈতিক স্থিতি নেই। হানাহানি, যুদ্ধ, অন্তর্দ্বন্দ্ব বেশ ব্যাপক। তারপরও দেশটির অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। ২০১৬ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সবার উপরে আসন দখল করবে। ইরাকর মতো ও আমাদের অবস্থান তৃতীয় হবে, তাও বেশ অবাক করার মতো।
জাতিসংঘ ও বহুজাতিক দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বছর শেষে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রাক্কলন প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এবারও করেছে। সেখানে প্রতিটি দেশ নিয়ে প্রাক্কলন রয়েছে। এর মধ্যে মূলত আইএমএফের দেওয়া তথ্য ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন মানি প্রবৃদ্ধি ও আকারের দিক থেকে শীর্ষ ১০টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকায় তৃতীয় স্থানেই আছে বাংলাদেশ। আইএমএফ বলছে, ২০১৬ সালে বিশ্বমন্দা আরও গভীর হবে। গত অক্টোবরে তারা বলেছিল, নতুন বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে। জাতিসংঘ প্রতি নতুন বছরের শুরুতে অর্থনীতির আরেকটি প্রাক্কলন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবারের প্রতিবেদনের একটি সারাংশ গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্ব অর্থনীতির এ রকম এক হতাশাজনক প্রেক্ষাপটে নতুন বছরে বাংলাদেশ নিয়ে সবাই সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এসেছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। তিনিও বাংলাদেশের সাড়ে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রশংসা করে এ জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের গর্বিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশ পাল্লা দেবে, এটা কয়েক বছর আগেও ভাবা যেত না। অথচ, সিএনএনের তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে চীনকেও। তালিকায় ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ছিল পঞ্চম স্থানে। আর প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রাক্কলন ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে এসে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে। তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে কাতার (৬.৫%), চীন (৬.৩%), ফিলিপাইন (৬.৩%), ভিয়েতনাম (৫.৮%), ইন্দোনেশিয়া (৫.৫%), মেক্সিকো (৫.৫%) এবং নাইজেরিয়া (৫%)। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম বলেন, ‘আইএমএফ বলছে, ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে; বিশ্বব্যাংক বলছে সাড়ে ৬ শতাংশ। এরা সব সময়ই রক্ষণশীল হিসাব দেয়। প্রতিবছরই আমরা তাদের প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করি। এমন কোনো বছর পাওয়া যাবে না, তাদের প্রাক্কলনের চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা রাজনৈতিক অস্থিরতা না হলে আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, এ বছর প্রথমবারের মতো ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। এটাই ২০১৬ সালের বড় সুখবর।’
তবে এ অর্জনের পেছনে বিনিয়োগকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন শামসুল আলম। তিনি বলেন, জমির প্রাপ্যতা, সুদের হারের পাশাপাশি ব্যক্তি পুঁজির নিরাপত্তার বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। যেখানে (বাংলাদেশ) ব্যাংকে টাকা ফেলে রাখলে ১০-১১ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়, সেখান থেকে কেন প্রায় শূন্য সুদের দেশে টাকা পাচার হয়? তবে এতটা আশাবাদী নন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, অর্থনীতি এখন কোন কোন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে। এখনো বেশ কিছু সূচকে দুর্বলতা রয়েছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির যে হার, তাতে এ বছর সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জিত হবে না। প্রবাসী-আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে প্রবাসী-আয় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। কেননা, তেলের দাম কমে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সমস্যায় রয়েছে। আবার পশ্চিমা দেশগুলো অভিবাসীদের সম্পর্কে কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, বিনিয়োগই হলো প্রবৃদ্ধির বড় নায়ক। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের প্রাণবন্ত চিত্র দেখা যাচ্ছে না। অর্থনীতিবিদদের মধ্যে সংশয় থাকলেও বাংলাদেশের জন্য কিন্তু আরও শুভ সংবাদ দিয়েছে সিএনএন মানি। তারা আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশগুলোর সম্ভাব্য অবস্থান নিয়েও তালিকা করেছে। সেখানেও বাংলাদেশ আছে ওপরের দিকেই। যেমন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থাকবে তৃতীয় অবস্থানেই (৭%), পরের দুই বছরে চতুর্থ স্থানে (৭%)। ২০২০ সালে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ থাকবে চতুর্থ স্থানে। এই সময়ের মধ্যে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাবে মিয়ানমার। মূলত ১০০ বিলিয়ন (১০ হাজার কোটি) ডলারের বেশি অর্থনীতির আকার এমন দেশগুলো নিয়েই তালিকাটি করা হয়েছে।
সিএনএন মানি আরেকটি তালিকা করেছে অর্থনীতির আকারের দিক থেকে। সেখানে অবশ্য পাত্তা পায়নি ছয় মাস আগে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া বাংলাদেশ। এই তালিকায় ১৯ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি নিয়ে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই আছে ১২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি চীন। পরের দেশগুলো যথাক্রমে জাপান (৪.৩ ট্রিলিয়ন ডলার), জার্মানি (৩.৫ ট্রিলিয়ন), যুক্তরাজ্য (৩ ট্রিলিয়ন), ফ্রান্স (২.৫ ট্রিলিয়ন), ভারত (২.৫ ট্রিলিয়ন), ব্রাজিল (১.৯ ট্রিলিয়ন), ইতালি (১.৯ ট্রিলিয়ন) এবং কানাডা (১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার)।
তবে আমাদের করণীয় হলো : ১. আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১৬ সালে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বে তৃতীয় স্থান দখল করবে। বেশ আনন্দ ও স্বস্তি লাগছে। আমরা সত্যিকার অর্থে অর্থনীতিতে এগিয়ে চলেছি। তবে এই এগিয় চলার গতিকে ধরে রাখতে হলে বাধাসমূহ দূর করতে হবে। প্রথম বাধা হচ্ছে দেশে একটি স্থিতিশীল, নির্বাচিত সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। তাই দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সকলের অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রয়াজন। তখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফির আসবে। দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তবেই প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত থাকবে।
২. মধ্যপ্রাচ্যের মতো সকল মুসলিম দেশের সঙ্গে আরও বেশি সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আমাদের জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধি করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ সকল দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক গড়া প্রয়োজন।
৩. দেশে দুর্নীতি, ঘুষ, অনিয়মের মহাউৎসব চলছে। দুর্নীতির লাগামকে টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের উঁচু পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যন্ত সকল পর্যায়ে দুর্নীতিকে সহনশীল পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। তাহলে ‘সিস্টেম লসের’ নামে অপচয় দূর হবে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
৪. দেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রধানতম বাধা হচ্ছে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়া। নতুন নতুন গ্যাস সংযোগ ও পুরাতন সংযোগে প্রেসার বৃদ্ধির অনুমতি বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন বৃহৎ শিল্প স্থাপন করতে হলে ক্যাপটিভ পাওয়ার স্থাপন জরুরি। সরকার বর্তমানে ক্যাপটিভ পাওয়ার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই নতুন শিল্প স্থাপন ও পুরাতন শিল্প সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারকে গ্যাসের উৎপাদন, সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুরূপভাবে বিদ্যুতের স্বল্পতার জন্য সারাদেশের মানুষ হাহাকার করছে। যদিও কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু তাও চাহিদা অনুযায়ী অনেক কম। চাহিদা পূরণ করতে হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না করতে পারলে শিল্প স্থাপন করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া দেশের জনসংখ্যার সমতা ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ করা যাচ্ছে না। সমতা ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনাকে দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।
৫. ব্যাংকসমূহে সুদের হার অনেক নামিয়ে আনতে হবে। ঋণ ও বাংলাদেশে সুদের হার ১২ থেকে ২২ শতাংশ রয়েছে। এর পূর্বে সুদের হার ছিল কমপক্ষে ১৪ শতাংশের উপরে। বিগত কিছুদিন ধরে ব্যাংকের সুদের হার কোথাও কোথাও ১১ শতাংশ পর্যন্ত নেমে এসেছে। এই ক্ষেত্রে সরকারকে কৌশলগত সুবিধা দিয়ে ব্যাংকসমূহে সুদের হার ৪ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। অন্যদিকে আমাদের দেশে ব্যাংকসমূহে নানা চার্জও বেশ বেশি। ব্যাংকসমূহে চার্জও যথেষ্ট পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
৬. প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য যেমন বিনিয়োগ প্রয়োজন, তেমনি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য শিল্প স্থাপনের কোন বিকল্প নেই। অধিক শিল্প স্থাপন অর্থ হচ্ছে অধিক হারে কর্মসংস্থান করা। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গত ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছেন, বেশি বেশি দেশি পণ্য যা রপ্তানির চাহিদা রয়েছে, তা উৎপাদন করতে হবে। রফতানি পণ্যের খাত বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু এটা করতে হলে নতুন শিল্প স্থাপন করতে হবে। নতুন শিল্প স্থাপন অব্যাহত থাকলে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিও অব্যাহত থাকবে।
৭. সামাজিক সুবিচার, ন্যায়ের শাসন কায়েম অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। সুশাসন ছাড়া, সুবিচার ছাড়া, নিরপেক্ষ বিচারক ছাড়া দেশের উন্নতি আশা করা যায় না। সুশান, সুবিচার ব্যবস্থা আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন থেকে সর্বউচ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার, নিরপেক্ষ বিচার, সুবিচার সকলে প্রত্যাশা করে। এর জন্য সরকারকে দৃঢ় হতে হবে। দলের ঊর্ধ্বে বিচার ব্যবস্থাকে কার্যকর অর্থেই নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। আজ আমাদের সমাজের পরিবর্তনের জন্য দলীয় নয়, দেশের বিচারক হিসাবে কাজ করার দৃঢ়তা অর্জন প্রয়োজন। আগামী বছরগুলোতে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জন ঘোষিত টার্গেটে পৌঁছার জন্য ন্যায়ের শাসন জরুরি।
লেখক : সাবেক সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই, বিটিএমএ, বিজেএমইএ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।