Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রংপুর সিটি নির্বাচন ইসির জন্য পরীক্ষা-ড. খন্দকার মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রংপুরসহ আসন্ন সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব সিটি করপোরেশন নির্বাচন আসবে সেগুলো ইসির জন্য একটি পরীক্ষা। আমরা এসব নির্বাচনে তাদের দেখবো এবং পর্যবেক্ষণ করবো। আর এসব নির্বাচনই বলে দিবে আগামী দিনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। গতকাল (রোববার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচনগুলো সামনে আসবে এটা একাদশ জাতীয় সংসদের পূর্বের নির্বাচন। এটা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি পরীক্ষা শুরু। এই নির্বাচনগুলো আমরা দেখতে চাই। এই পরীক্ষাগুলো তাদের (ইসি) আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। এসব সিটি করপোরেশন নির্বাচন ডিসাইড করে দেবে আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে। হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, যদি সরকার পুনরায় গায়ের জোরে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, আবার যদি ২০১৪‘র মতো নির্বাচনের দিকে যায় তাহলে দেশের জন্য এবার আর ক্ষমা করবে না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।
একাদশ নির্বাচন কোনো ক্রমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধীনে হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকারকে জনগন প্রত্যাখান করেছে, তাদের জনসমর্থন শূণ্য। তারা জোর করে আবারো ২০১৪ সালের মতো একটি নির্বাচন করতে চায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো ক্রমেই শেখ হাসিনার অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। আমরা এই দেশে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার আদায় করে, জনগনকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো। আগামী নির্বাচনেই বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পতন ঘটবে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশের জনগন অপেক্ষা করছে আমাদেরকে বিপুল ভাবে নির্বাচিত করে এই আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য। সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সময় শেষ হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ অনেক আবোল তাবোল কথা বলছে, কাজ করবে। জ্বর বেশি হলে অনেক আবোল-তাবোল বলে। সে সবের দিকে আপনারা কান দেবেন না। আওয়ামী লীগের পতনের সব রকমের নমুনা আমরা দেখতে পারছি, ঘন্টা বেজে গেছে। আওয়ামী লীগের অধঃপতন ও বিএনপির উত্থান আগামী ২০১৮ সালে হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সংগঠনের সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমীনসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি নির্বাচন

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ