বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীতে মোবাইল ফোন লেনদেনের ঘটনায় বন্ধুদের হাতে মো. মাইনুদ্দিন গাজি (১৯) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন। জেলা সদরের আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মাইনুদ্দিন ওই গ্রামের কৃষক খলিল গাজির ছেলে। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
আটককৃতরা হলেন, কল্যাণপুর গ্রামের রশীদ খানের ছেলে জনি খান (১৮), আহসান উল্লাহর ছেলে মো. বাবু, মো. সিদ্দিক মিজির ছেলে মো. ইসহাক (১৮), তোফাজ্জেল পাটোয়ারীর ছেলে মো. নেসার (১৮), কাশেম খানের ছেলে ফয়সাল খান (১৯)।
নিহত মাইনুদ্দিনের ছোট চাচা আইয়ুব আলি গাজী জানান, তার ভাতিজা মাইনুদ্দিনের একটা দামি মোবাইলফোন ছিল সেটা দাবি করে স্থানীয় ওই পাঁচ যুবক। পরে মাইনুদ্দিন মোবাইল দিতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মাইনুদ্দিনকে মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। পরে তার বাড়ি আসতে দেরি দেখে তার খোঁজ করা হয়।
তিনি জানান, ‘একপর্যায়ে বাড়ি থেকে অদূরে নওয়াব গ্রামার স্কুলের পেছনে মৃত মালেক শেখের বাগান থেকে আহত অবস্থায় তার বন্ধু মো. নজরুল ইসলামসহ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোররাতে মারা যায় মাইনুদ্দিন। আহত নজরুল (২০) রাজবাড়ী সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।'
নিহত মাইনুদ্দিনের বোনজামাই মো. বদরুল আলম জানান, ‘সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন সিরিঞ্জ ও ইট পড়ে আছে। ইটের সঙ্গে রক্ত লেগে আছে।’ তাদের ধারণা,ইট দিয়েই মাইনুদ্দিনের মাথায় জখম করেছে খুনিরা। স্থানীয় এক যুবক মুন্না জানান, ‘মাইনুদ্দিন ছেলে হিসেবে ভালো ও মেধাবী ছাত্র ছিল।’ গ্রামবাসী এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের ফাঁসি চায়।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন জানান, ‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।