রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাকুন্দিয়া (কিশোরঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানার এসআই মো. রিয়াজ উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ৬৬জন নেতাকর্মী জামিন লাভ করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে কিশোগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং বিচারিক হাকিম উবায়দা খানম এর আদালতে হাজির হয়ে নেতকর্মীরা জামিন লাভ করেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু গত ৩০ অক্টোবর বিকেলে পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহে শোডাউন ও নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেন। পরে স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকরা একই জায়গায় একই সময়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাল্টা আর একটি কর্মী সমাবেশ ডাকেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সন্ধ্যায় ও রোবিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকেরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকায় প্রশাসন রবিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ১৪৪ ধারা জারী করে মাইকিং করে। এদিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে ৩০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রফিকুল ইসলাম রেনু’র হাজার হাজার জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঈদগাহের দিকে আসতে শুরু করলে পৌরসদরের কয়েকটি স্থানে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে এমপির ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশ মিলে মিছিলকারীদের লাঠি পেটা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে আওয়ামীলীগের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।