Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফেনীর শীর্ষ সন্ত্রাসী আরু মেম্বার গ্রেফতার

সোনাগাজী ( ফেনী ) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ৭:০৪ পিএম

ফেনী জেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্ত:দেশীয় ডাকাত দলের সর্দার আব্দুল বারেক আরু মেম্বার (৪৫) কে শনিবার সোনাগাজী উপজেলা আহাম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায়, আরু ছোট বেলা থেকে শীথ চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল। ২০০১ সালে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে। ঠিক তখন থেকে আমিরাবাদ, নবাবপুর , বগাদানা ইউনিয়ন সহ সোনাগাজী-ফেনী সড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে রাত ও দিনের বেলায় ছিনতাই ও ডাকাতি শুরু করে। বিশেষ করে সোনাগাজী উপজেলার পূর্বাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। গত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে সোনাগাজী-ফেনী, নোয়াখালী, মিরস্বরাই, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, ঢাকার গুলশান থানায় ছিনতাই, ডাকাতি, খুন সহ অন্তত ১৫টি মামলায় গ্রেফতার হয়। দুই বছর কারাবরণ শেষে উক্ত মামলায় জামিন পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তার নির্যাতনে আমিরাবাদ , নবাবপুর ইউনিয়নের শত শত পরিবার, বাড়ি ঘর ছেড়ে ঘরে তুলা ঝুলিয়ে অন্যত্র পালিয়ে এখনো বেড়াচ্ছে। গত ২০১১ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমিরাবাদ ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার নির্বাচিত হন আরু। ইতোমধ্যে তাকে আ’লীগের আমিরাবাদ ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত করা হয়। এলাকাবাসী জানান, মেম্বার ও দলীয় পদ পাওয়ার পর থেকে তার চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে রূপ নেয়। স্থানীয় আমির উদ্দিন মুন্সীর হাট , ভোরবাজার, নবাবপুর বাজারে প্রতি দোকানী থেকে মাসওয়ারা আদায় , সিএনজি সহ সব গাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা, বিয়ে বাড়িতে চাঁদাবাজি, খৎনা অনুষ্ঠানে চাঁদাবাজি, ইউনিয়নে নতুন বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণে চাঁদাবাজি, উন্নয়ন কাজে চাঁদাবাজি, ইউনিয়নের প্রবাসীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় ছিল তার মূল কাজ। এলাকাবাসী আরো জানান, মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সনদ, মৃত্যুবরণ, জন্ম নিবন্ধন সনদ ও ওয়ারিশ সনদে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আসছিল। এই নিয়ে গত এক মাস আগে তার চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতির অভিযোগে স্থানীয় আমির উদ্দিন মুন্সীর বাজারে জনসভা করে এলাকাবাসী এবং এ সময় এলাকাবাসী সোনাগাজী মডেল থানায় ৫৩টি অভিযোগ দায়ের করেন। সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে সোনাগাজী সরেজমিনে তদন্ত করি। সব অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত শনিবার রাতে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে সোনাগাজী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ জানান, ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ৫৩ টি অভিযোগ সহ খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ, বিস্ফোরক আইনে ৭টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা সহ সোনাগাজী মডেল থানায় ১০টি মামলা পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, তাকে গ্রেফতারের পর নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ফেনী থানা সহ আরো কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। এ দিকে তার গ্রেফতারের খবর শুনে সোনাগাজী সহ ফেনী জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বহু স্থানে মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ জাফর উল্যাহ ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:০৬ পিএম says : 0
    সঠিক নিউজ করার জন্য ধন্যবাদ,সোনাগাজী থেকে সকল সন্ত্রাসী কে আইনের আওয়তায় ানা হোক৷ এটা এলাকাবাসীর দাবী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ