Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পীরগাছায় দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না কৃষকের

| প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পীরগাছা (রংপুর) থেকে সরকার রবিউল আলম বিপ্লব : রংপুরের পীরগাছায় দুই দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠলেও দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না কৃষকের। ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপদে আছেন উপজেলার কয়েক লাখ কৃষক। বন্যার পর ধান ক্ষেতগুলো কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে পোকা ও পাতা পোড়া রোগ। এ বছর পীরগাছা উপজেলায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে এ বছর আমন ধান চাষ করা হয়েছে। চাষের পরই দুই দফা বন্যায় উপজেলার অধিকাংশ জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে ধানের চারা বিতরণ করা হলে নতুন করে স্বপ্ন দেখছিলেন কৃষকরা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। মড়ার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে পোকা ও পাতা পোড়া রোগ। ধান ক্ষেতগুলো পোকার আক্রমণে সাদা বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে পোকার দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করলেও কোনো কাজে আসছে না। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ জমির কাঁচা-পাকা ধানগাছ মাটিতে ন্যুয়ে পড়েছে। অনেক কৃষক মাটিতে ধানগাছগুলো কেটে গো-খাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের অনন্তরাম (মাছুয়াপাড়া) গ্রামের কৃষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শেষ হয়ে গেছি। ধানগাছ সাদা হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।’ পারুল ইউনিয়নের মহিষমুড়ী গ্রামের আরেক কৃষক আজগার আলী বলেন, ‘দুর্যোগ আমাদের পিছু ছাড়ছে না। আর কদিন পরই ধান কাটতে পারতাম। কিন্তু বৃষ্টি ও বাতাসে আধাপাকা ধানগাছগুলো মাটিতে ন্যুয়ে পড়েছে।’ উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের জগজীবন এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হক বলেন, ‘আমরা পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও মাঠপর্যায়ে মনিটরিং করে সঠিকভাবে কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে আসছি।’ এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি সুয়োগ সুবিধা দেওয়া, পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষকদের মোবাইলে খুদে বার্তা, মাইকিং ও আলোর ফাঁদ তৈরিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টি ও বাতাসে ন্যুয়ে পড়া ধান ক্ষেতগুলোতে জমে থাকা পানি বের করে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ